তিনি নাকি প্রবীণ নাগরিকের দলে! চকচকে ত্বক, সুঠাম দেহ! ঝুলন্ত চামড়া খুঁজে বার করা মুশকিল। ৬২ বছরের জাভেদ জাফরি আজও যেন তাঁর যৌবন ধরে রেখেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর খাওয়াদাওয়া, যাপন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে জাভেদপুত্র মীজ়ান জাফরি জানালেন, তাঁর বাবা সারা জীবন ধরে কেবল ঘরোয়া খাবারই খেয়ে চলেছেন। বাইরের খাবার নাকি ছুঁয়েও দেখেন না। মীজ়ানের কথায়, ‘‘সারা জীবন বাবা যে এত নাচ, এত শরীরচর্চা ইত্যাদি করেছেন, এখন মিলছে তারই সুফল। সেই কারণেই আজ এত ফিট তিনি।’’
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সময় মেপে খাবার খান জাভেদ। তবে তা প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজন, নৈশভোজে ভাগাভাগি করার দরকার পড়ে না। অল্প অল্প খেতে থাকলে তাঁর পেট ভরে যায়। কখন কী খান জাভেদ?
সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস গরম জল পান করেন জাফরি। তার পর এক বাটি ফল খেয়ে নেন। তাতে থাকে অ্যাভোকাডো, পেঁপে, আপেল, ব্লুবেরি, কখনও কখনও কলা। তার পর খানিক ক্ষণের বিরতির পর চারটি ডিম খান জাভেদ। তা সে সেদ্ধ হোক, বা অর্ধেক সেদ্ধ। কুসুম বাদ দিয়ে ডিম খাওয়ার ধারণায় বিশ্বাসী নন জাভেদ। সঙ্গে কখনও সখনও একখানি মোটা রাগি রুটি থাকে। সেদ্ধ ডিমের সঙ্গে রুটি খান না জাভেদ, অর্ধেক সেদ্ধ হলে থকথকে কুসুমে রুটি ভিজিয়ে খেতে পছন্দ করেন তিনি। খানিক পরে বেশ কয়েকটি বাদাম (আমন্ড এবং আখরোট) খান অভিনেতা। তবে বাদামগুলি আগের রাতে জলে ভেজানো থাকে। এর পর আর কিছু খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। দুপুরে খিদে পেলে হালকা স্যালাড মাঝে মধ্যে খান। তার পর একেবারে রাতে ঘরে বানানো খাবার খান।
মীজ়ানের কথায় জানা গেল, অ্যালকোহল, ধূমপান, ইত্যাদি জাভেদের জীবনে নেই। আর তারই দৌলতে আজও তিনি আগের মতো ফিট থাকতে সক্ষম হয়েছেন।