উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের মতুয়া-ধামে বুধবার আক্রান্ত হয়েছিলেন কয়েক জন মতুয়া ভক্ত। ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ৫ জানুয়ারি রাজ্য জুড়ে দুপুর ১২টা থেকে পথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ।
ওই ঘটনায় রবিবার পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে এ দিন সন্ধ্যায় গাইঘাটা থানার সামনে কিছু ক্ষণ অবস্থানে বসেন মতুয়াদের একাংশ। পুলিশ আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। তার আগে ওই মহাসঙ্ঘের কেন্দ্রীয় কমিটি জরুরি বৈঠকে পথ অবরোধ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। এ কথা জানিয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুকেশ চৌধুরী বলেন, “আমরা পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি। আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে যদি সব অপরাধীকে গ্রেফতার না করা হয়, তা হলে আমরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব। সে দিন নান্টু গোসাঁইকে মাটিতে ফেলে নির্মম ভাবে মারধর করা হয়। এটা শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, গোটা মতুয়া সমাজের সাধু গোসাঁইদের প্রতি চরম অসম্মান।”
সুকেশ আরও জানান, এসআইআরে যাতে কোনও মতুয়া উদ্বাস্তুর নাম বাদ না যায়, সে দাবিও ৫ জানুয়ারি তোলা হবে।
মমতা ঠাকুর বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের পাশে আছেন। বিজেপির হামলার প্রতিবাদ হবেই।” পুলিশ জানায়, মারধরের ঘটনায় যুক্তদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
চূড়ান্ত ভোটার-তালিকায় তাঁদের নাম থাকবে কি না, তা জানতে গত বুধবার ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কাছে যাচ্ছিলেন কিছু মতুয়া ভক্ত। তাঁর বাড়ির সামনে শান্তনুর প্ররোচনায় তাঁর অনুগামী কিছু বিজেপি কর্মী তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। শান্তনুও পাল্টা হামলার অভিযোগ তোলেন।
মমতা ঠাকুরের অনুগামীদের অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে শান্তনুর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, শান্তনুর নেতৃত্বাধীন অন্য মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গাইন বলেন, “ওঁরা অবরোধ করতেই পারেন। মতুয়ারা বুঝিয়ে দেবেন, তাঁরা ওঁদের সঙ্গে নেই। বলা হচ্ছে, বিজেপির লোকজন মারধর করেছে, তা হলে অভিযোগে কেন আমাদের মহাসঙ্ঘের পদাধিকারীদের নাম দেওয়া হয়েছে?” তাঁর দাবি, ধৃত ব্যক্তিও মতুয়া ভক্ত। তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)