Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Bagnan

চাকরি প্রার্থীদের মিছিল রুখে ‘মার’

রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগের দাবিতে সোমবার মিছিল শুরু হয় বিপ্লবী মাতঙ্গিনী হাজরার গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরের হোগলা থেকে। মঙ্গলবার মিছিল পৌঁছয় বাগনানে।

police.

চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয় হাওড়ার বাগনানে। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগনান শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৩১
Share: Save:

চাকরি প্রার্থীদের মিছিল আটকে মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয় হাওড়ার বাগনানে। পুলিশ অবশ্য মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছে। দুপুরের পরে মিছিলও এগোয় কলকাতার দিকে।

রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগের দাবিতে সোমবার মিছিল শুরু হয় বিপ্লবী মাতঙ্গিনী হাজরার গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরের হোগলা থেকে। মঙ্গলবার মিছিল পৌঁছয় বাগনানে। শ’চারেক চাকরি প্রার্থীর গন্তব্যস্থল, কলকাতার শহিদ মিনার। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বাগনানের খাদিনান থেকে শ’দুয়েক যুবক-যুবতী হাঁটা শুরু করেন। কিছুটা এগোতেই গোপালপুরের কাছে মিছিল আটকায় পুলিশ। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কয়েক জন আন্দোলনকারী আটক হন। পরে চাকরিপ্রার্থীরা পুলিশকে এড়িয়ে মিছিল শুরু করেন। বেলা ১টা নাগাদ পুলিশ মিছিল আটকায় বাগনান ন’পাড়ার কাছে। ফের ধস্তাধস্তি বাধে। আশিস খামরুই নামে এক চাকরি প্রার্থীকে পুলিশ মারে বলে অভিযোগ। তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। পুলিশ তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি বলেও অভিযোগ।

প্রতিবাদে চাকরি প্রার্থীরা রাস্তার উপরে বসে পড়েন। পুলিশ এক সময়ে তাঁদের প্রস্তাব দেয়, একসঙ্গে সকলে না হেঁটে তিন জন করে ছোট দলে ভেঙে হাঁটতে। এই নিয়ে তর্কাতর্কি চলে। বেলা আড়াইটে নাগাদ ফের মিছিল এগোয়। চাকরি প্রার্থীদের দাবি, আদালতের অনুমতি নিয়েই তাঁরা মিছিল করছেন। আশিস বলেন, ‘‘আমরা আদালতের কাগজ দেখালেও গায়ের জোরে মিছিল বন্ধের চেষ্টা করেছে পুলিশ। এক পুলিশ কর্মী আমার মুখে ঘুষি মেরেছেন।’’ আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশের সঙ্গে থাকা অনেকের ইউনিফর্মে নাম ছিল না। পুলিশের উর্দি পরে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

মারধরের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। উলুবেড়িয়ার এসডিপিও সিদ্ধার্থ ধাপলা বলেন, ‘‘আইন-শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য তাঁদের আটকানো হয়। জোটবদ্ধ হয়ে যেতে নিষেধ করা হচ্ছিল। কিন্তু চাকরি প্রার্থীরা তা শোনেননি। তাই তাঁদের আটকানো হয়।’’ এ দিন পুলিশ-কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আদালতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও চাকরি প্রার্থীদের রাস্তায় আটকানো হচ্ছে কেন? পরে প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বাগনানে পৌঁছন। পুলিশ জানায়, ৮ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হলেও সন্ধের পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bagnan police Job
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE