Advertisement
E-Paper

শরিকি চাপে মিছিলে নেই সিপিএম

শেষ পর্যন্ত বাম শরিকদের চাপে পিছিয়েই এল সিপিএম। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ, শনিবার মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে ময়দানে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত কংগ্রেসের মিছিলে যোগ দিচ্ছে না তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৬ ০৯:২৬

শেষ পর্যন্ত বাম শরিকদের চাপে পিছিয়েই এল সিপিএম। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ, শনিবার মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে ময়দানে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত কংগ্রেসের মিছিলে যোগ দিচ্ছে না তারা। কংগ্রেসের আমন্ত্রণে সাড়া দিতে আলিমুদ্দিনের তেমন কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু তিন বাম শরিক আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিআই বেঁকে বসায় তাঁদের অপারগতার কথা শুক্রবার কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চত্রবর্তী।

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী কংগ্রেসের মিছিলে যোগ দেওয়ার ভার দিয়েছিল বাম পরিষদীয় দলের উপরে। তার পরেই তিন শরিক দলের নেতৃত্ব জানান, তাঁদের কোনও বিধায়ক ওই মিছিলে যাবেন না। এই পরিস্থিতিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘‘বামফ্রন্ট না গেলে আমরা আর গিয়ে কী করব?’’ বিধানসভায় শরিক দলগুলির পরিষদীয় নেতাদের সঙ্গে ফের কথা বলেন সুজনবাবু। তাতেও চিঁড়ে না ভেজায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মানস ভুঁইয়া ও সচেতক মনোজ চক্রবর্তীকে মিছিলে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাই জানান তিনি। বাম শরিকেরা এই সিদ্ধান্তে খুশি হলেও সিপিএমের অন্দরে জোটপন্থীরা মনে করছেন, দুই নৌকোয় পা দিয়ে চলতে গেলে আরও বিপদ হবে!

কংগ্রেস-সিপিএম, দু’দলই দেখাতে চাইছে, এই ঘটনায় জোটে ধাক্কা লাগবে না। সুজনবাবু বলেছেন, ‘‘বাম পরিষদীয় দলের মনে হয়েছে, আরও কথা দরকার। বিধানসভায় কক্ষ সমন্বয় থাকবে। অধিবেশন শেষ হলে একসঙ্গে রাস্তাতেও নামব।’’ আপাতত কি এই সিদ্ধান্তে ভুল বার্তা গেল না? সুজনবাবুর দাবি, ‘‘না। বিরহে তো প্রেম আরও বাড়ে!’’ মান্নানের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মিছিল নিয়ে যা হয়েছে, সেটা সাংগঠনিক ব্যাপার। কোথাও ধাক্কা লাগেনি। বিধানসভা শেষ হলে আমরা রাস্তায় বেরোব।’’

cpm alliance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy