Advertisement
E-Paper

ঘণ্টায় ৫০ লাখ মেসেজ ছড়ান, নির্দেশ শাহের

সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মনে দলের বক্তব্য ‘গেঁথে দেওয়া’র জন্য বিজেপি কর্মীদের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:২০
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি পিটিআই।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি পিটিআই।

সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মনে দলের বক্তব্য ‘গেঁথে দেওয়া’র জন্য বিজেপি কর্মীদের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে রাজ্য দলের সামাজিক মাধ্যম বিভাগের কর্মীদের সামনে বক্তৃতা করে শাহ তাঁদের বিধানসভা ভোটের আগের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। তাঁর নির্দেশ— বিধানসভা ভোটে ২০০-র বেশি আসন জিতে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে দলের সামাজিক মাধ্যম বিভাগের কর্মীদের। আপাতত আরাম এবং হোয়াটসঅ্যাপে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা বন্ধ রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি এবং দলের মতাদর্শ বুথ স্তর পর্যন্ত সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এমন ভাবে হোয়াটসঅ্যাপের জাল বুনতে হবে, যাতে ঘণ্টায় ৫০ লক্ষ মেসেজ ছড়ানো যায়। দলের সামাজিক মাধ্যম বিভাগের তৈরি ‘মোদী পাড়া’ নামে একটি অ্যাপের উদ্বোধন করে সেটিতে ২ কোটি মানুষকে যুক্ত করার নির্দেশও দেন শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘আপনাদের দায়িত্ব বেশি। ভোটে জেতার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জয়ের কারণ ব্যাখ্যায় মমতার সরকারের নানা ত্রুটির কথা বলবেন। কিন্তু আমি চাই, বিজেপির সাইবার যোদ্ধাদের পরিশ্রমটাই সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কারণ হিসাবে উঠে আসুক। ইতিহাসের পাতায় আপনাদের নাম স্থান পাক।’’

বিজেপির সামাজিক মাধ্যমের কর্মীদের কী ভাবে কাজ করতে হবে, এ দিন সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। বলেন, ওই কর্মীদের চারটি দল গড়তে হবে। একটি দল রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করবে, দ্বিতীয় দল কনটেন্ট তৈরি করবে, তৃতীয় দল তা ছড়াবে এবং চতুর্থ দল মানুষের প্রতিক্রিয়া জানাবে। কনটেন্ট তৈরি করতে হবে কেন্দ্রের প্রকল্প, রাজনৈতিক হিংসার বিরোধিতা এবং স্থানীয় দাবি, এই তিন ভাগে। প্রচারে রাখতে হবে রাজনৈতিক স্যাটায়ার, ক্যারিকেচার, কার্টুন, অ্যানিমেশন, তৃণমূলকে জালে ফেলা এবং ভয় দেখানোর মতো বিষয় প্রভৃতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা-সহ নেতাদের টুইটার ফলো করে তাঁদের বার্তাগুলি তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। শাহের বক্তব্য, ‘‘সব চেয়ে বড় কাজ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গড়া। প্রতি বুথে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করতে হবে। বুথ, মণ্ডল, জেলা এবং রাজ্যের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেল প্রচার না দিলেও সামাজিক মাধ্যম মারফৎ মানুষের মোবাইলে এবং মনের মধ্যে ঢুকে পড়তে হবে।’’ শাহ জানান, উত্তরপ্রদেশে ১৮ লাখ এবং ৩৫ লাখের দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বানানো হয়েছিল। তাতে সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে সাফল্য এসেছিল। বড় লেখার চেয়ে গ্রাফিক্সে বেশি জোর দেন শাহ। এ দিন কলকাতা ছাড়ার আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ কয়েক জন শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি।

BJP Amit Shah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy