ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতাল।ফাইল চিত্র।
বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অগ্নি সুরক্ষায় নজর দেননি। নজর দিলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। আমরি হাসপাতালে ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের যে রিপোর্ট বুধবার বিধানসভায় জমা পড়েছে, সেখানে এই কথা বলা হয়েছে। ওই ঘটনায় চিকিৎসাধীন রোগী-সহ অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়।
কমিটি দেখেছে আগুন লাগার পিছনে কোনও বৈদ্যুতিক গোলযোগ ছিল না। বেসমেন্টের ওপর তলায় গ্যাস সিলিন্ডার, পিভিসি তার, কাঠের বাক্সের মতো বিবিধ দাহ্য বস্তু জমিয়ে রাখা হয়েছিল। তার কোনও অনুমোদনও ছিল না। এমনকী, ডিসেম্বরে আগুন লাগার আগে ওই বছরের অগস্টেই ওই সব দাহ্যবস্তু সরিয়ে ফেলতে হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা শোনেননি। তা ছা়ড়াও, হাসপাতালের প্রতিটি তলায় খোলা জায়গাগুলিতে আগুন বা তাপ আটকানোর ব্যবস্থাও রাখা হয়নি। ফলে সেখান দিয়ে অবাধে ধোঁয়া ও গরম হাওয়া ঢুকেছিল। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাও ঠিক মতো কাজ করেনি।
বিচারপতি তপন মুখোপাধ্যায়ের কমিশন এই ঘটনার জন্য আমরি হাসপাতালের বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে মামলাও দায়ের করেছে। মামলা আদালতে বিচারাধীন।
আমরির-অগ্নিকাণ্ডের পরে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল বলে হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে বৈদ্যুতিক কারণে আগুন লাগেনি বলে স্পষ্ট করা হয়েছে। আমরির গঠনগত ত্রুটিরও উল্লেখ রয়েছে তদন্ত রিপোর্টে। হাসপাতালে ঢোকা, বেরনোর রাস্তা সঙ্কীর্ণ ছিল। এমনকী, আগুন লাগলে কোন দিক থেকে বেরোতে হবে, তারও নির্দিষ্ট দিকনির্দেশ ছিল না। অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনায় বেরনোরও কোনও ব্যবস্থা ছিল না ওই হাসপাতালে। এমনকী, রোগীদের উদ্ধারকাজেও আমরির নিরাপত্তা কর্মী ও অন্যান্য কর্মীর যথেষ্ট গাফিলতিও ছিল বলে তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy