কেরলে কাজে গিয়ে ধর্ষিতা মহেশতলার বছর সতেরোর এক নাবালিকা। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা কেরলের একটি শপিং মলে কাজ করত। গত ১৮ অগস্ট শরীর খারাপ লাগছে বলে মেয়েটি দুপুরে শপিং মল থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু সারা রাত সে আর বাড়ি ফেরেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরলে মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে থাকে। রাতে সে বাড়ি না ফেরায় মা পড়শিদের সঙ্গে গিয়ে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরদিন সকালে নাবালিকা রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে। তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তখন সেই মর্মে নতুন করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। নির্যাতিতাকে কেরলেরই একটি হোমে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। যেমন স্পষ্ট নয়, অভিযুক্ত কে এবং তাকে স্থানীয় পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে কি না।
মহেশতলা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ এলাকার অন্তর্গত। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অত্যাচারের ঘটনা সম্প্রতি বেড়েছে বলেই দাবি। বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে আক্রান্ত পরিযায়ীদের রাজ্যে ফেরানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। এ ক্ষেত্রেও মহেশতলা পুরসভার অন্যতম পুরপ্রতিনিধি শুভাশিস দাস জানান, অভিষেকের নির্দেশে চার জনের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবারই কেরল গিয়েছে। সেই দলে এলাকার আর আর এক পুরপ্রতিনিধি দীপিকা দত্তও থাকছেন। শুভাশিস জানান, সাংসদের নির্দেশে ওই নির্যাতিতা কিশোরীকে কেরল থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশতলা থানা থেকে পুলিশের একটি দলও কেরলে যাচ্ছে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)