Advertisement
E-Paper

টাকার বিনিময়ে ১০ লাখের ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন! মামা-মামির পর এ বার কসবাকাণ্ডে গ্রেফতার সেই ‘দালাল’

ধৃত ব্যক্তির নাম চঞ্চল মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, সোমনাথকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন চঞ্চল। বিনিময়ে নিয়েছিলেন টাকাও।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫ ১২:০৩
শিশুপুত্রের সঙ্গে সোমনাথ রায় (ডান দিকে)।

শিশুপুত্রের সঙ্গে সোমনাথ রায় (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

কসবার হালতুতে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় উঠছে অনেক প্রশ্ন। আর্থিক অনটনের জেরেই কি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল ওই পরিবার? জল্পনা চলছে তা নিয়েও। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মৃত সোমনাথ রায়ের মামা-মামি। এ বার ওই ঘটনায় এক ‘দালাল’কেও গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গেল, টাকার বিনিময়ে ব্যাঙ্ক থেকে সোমনাথদের ১০ লাখ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনিই!

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম চঞ্চল মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, সোমনাথকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন চঞ্চল। বিনিময়ে নিয়েছিলেন টাকাও। এ বার তাঁকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তাঁর কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে কসবার হালতুতে সোমনাথ, তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায় এবং আড়াই বছরের পুত্রের দেহ উদ্ধার হয়। ছেলের দেহ নিজের সঙ্গে বেঁধে গলায় দড়ি দিয়েছিলেন সোমনাথ। তাঁর স্ত্রীও গলায় দড়ি দেন। ঘরের দেওয়াল জুড়ে লেখা ছিল ‘সুইসাইড নোট’! তাতে লেখা ছিল পরিবারের কয়েক জন সদস্যের নামও। সুমিত্রার পরিবারের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দম্পতি। তাঁরা আঙুল তুলেছিলেন সোমনাথের মামা-মামির দিকে। সোমনাথের লেখা ‘সুইসাইড নোটে’ও রয়েছে সেই পারিবারিক বিবাদের কথা। তবে প্রতিবেশীদের একাংশ আবার পাওনাদারদের কথাও তুলছেন। তাঁদের দাবি, সোমনাথের বাড়িতে পাওনাদারেরাও আসতেন। সবটাই তাঁরা শুনেছেন, দেখেননি কিছু। তবে কি আত্মহত্যার নেপথ্যে রয়েছে আর্থিক অনটনও? সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

মঙ্গলবার রায় পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধারের পরেই কসবা থানায় দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রথমটি করেছেন মৃত সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক। তিনি সোমনাথের মামা প্রদীপকুমার ঘোষাল এবং মামি নীলিমা ঘোষালের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। দ্বিতীয় অভিযোগ করেছেন সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিক। তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পরেই সোমনাথের মামা, মামি এবং মাসিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সুমিত্রার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতেই সোমনাথের মামা এবং মামিকে গ্রেফতার করা হয়। এ বার দ্বিতীয় অভিযোগের তদন্তে গ্রেফতার হলেন চঞ্চল।

kasba Suicide agent
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy