—ফাইল চিত্র।
কখনও তারাপীঠে। কখনও নিজের দলের কার্যালয়ের পুজোয়। মা কালীর কাছে বরাবর তাঁর একটাই আর্জি—দলকে দেবী ২০০-র গণ্ডি পার করে দিন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে।
তবে, ২১-এর ‘কঠিন’ ভোটে উতরোতে এ বার নিছক ‘শুকনো’ প্রার্থনা নয়, রীতিমতো যজ্ঞে বসছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সে যজ্ঞের নাম রাখা হয়েছে ‘মহাবিজয় যজ্ঞ’। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার বোলপুরের কঙ্কালীতলায় কঙ্কালী মায়ের সামনেই এই যজ্ঞ করবেন অনুব্রত। সরাসরি অবশ্য যজ্ঞের কারণ ভেঙে বলছেন না তিনি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হেঁয়ালির ছলেই অনুব্রত বলছেন, ‘‘আগেকার দিনে রাজা মহারাজারা যুদ্ধে যাওয়ার আগে মহাযজ্ঞ করতেন। ভেবে নিন, এটাও সেই একই রকম যজ্ঞ!’’
যদিও অনব্রত-ঘনিষ্ঠ জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘বিধানসভা ভোটে দল যাতে আবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় আসে, তার জন্যই এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেছেন কেষ্টদা।’’ কঙ্কালীতলা মন্দিরের সেবায়েত জয়ন্ত চৌধুরী, মহাদেব চৌধুরীরা বলেন, “এর আগেও অনুব্রতবাবু এখানে যজ্ঞ করেছেন। দলের মঙ্গল কামনার্থে বুধবার বড় যজ্ঞ করবেন তিনি।’’
সে যজ্ঞের জন্য এলাহি আয়োজন করা হচ্ছে। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, জানা গিয়েছে, ১ কুইন্টাল ১১ কেজি বেল কাঠ, তিন টিন ঘি এবং ১০০১টি বেলপাতা পোড়ানো হবে। এই যজ্ঞ করার জন্য ১২ জন পুরোহিতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অনুব্রত এই যজ্ঞ । যজ্ঞ শেষে আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষের নরনারায়ণ সেবারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যজ্ঞস্থল ঘুরেও দেখেন অনুব্রত-সহ নেতা-কর্মীরা।
এই যজ্ঞের আয়োজনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা । বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “মানুষ যা বোঝার এত দিনে বুঝে গিয়েছে। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল যে যজ্ঞই করুক না কেন, কিছু কাজ হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy