কালীপ্রতিমার গয়নার সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার বোলপুরে।নিজস্ব চিত্র
গত বছর নিজের হাতে মা কালীকে সোনার মুকুট, হাতের বালা, বাউটি, চূড়, বাজুবন্ধ, নেকলেস পরিয়েছেন তিনি। নিজের মাতৃবিয়োগের এক বছর অতিক্রান্ত না হওয়ায়, এ বার সেটা পারলেন না বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
শুক্রবার বোলপুরে তৃণমূলের জেলা অফিসে কালী-প্রতিমায় সোনার সাজ পরানোর দায়িত্ব পালন করলেন অনুব্রতের ‘ডান হাত’, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। পাশে দাঁড়িয়ে রইলেন অনুব্রত। মনে মনে, মায়ের কাছে প্রার্থনা সেরে নিলেন। বললেন, ‘‘কালীপুজোর দিন নির্জলা উপোস থাকব। আর বলব, মা গো যেন সামনের পুরভোটে তৃণমূলের জয়জয়কার হয়। আর ২০২১ সালে যেন ২২০ আসন পায় দল।’’
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৮ সাল থেকে জেলা অফিসে কালীপুজো হয়ে আসছে। দলের জেলা কমিটি পুজোর দায়িত্বে থাকলেও, রাশ অনুব্রতের হাতে। ফি-বছর দলের শ্রীবৃদ্ধির সঙ্গে কলেবরে বেড়েছে পুজোর আয়োজন। ব্যতিক্রম হয়নি এ বারও। শুক্রবারই প্রতিমা আনা হয় দলীয় কার্যালয়ে। গত বার যেখানে ১৮০ ভরি গয়না পরানো হয়েছিল, এ বার সেখানে দেবীর শরীরে উঠেছে প্রায় ২৬০ ভরি গয়না। আরও স্বর্ণালঙ্কার যে মা কালী পেতে পারেন, সেই সম্ভাবনার কথা অবশ্য গত বারই জানিয়েছিলেন জেলা সভাপতি। অনুব্রতের কথায়, ‘‘গত বার মায়ের কাছে চাওয়া ছিল বীরভূমের দু’টি লোকসভা আসনেই যেন জয় পায় দল। সেটাই হয়েছে। আমার এ বারের প্রার্থনাও মা ঠিক শুনবেন।’’
সহ-সভাপতি অভিজিৎবাবু বলছেন, ‘‘কেষ্টদার (অনুব্রত) মাতৃবিয়োগের এক বছর হয়নি। তাই তিনি সরাসরি পুজোয় যুক্ত থাকতে পারবেন না। তবে, পুজোর সমস্ত কাজের তদারকি তিনিই করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy