তারিখ জানানোর পরেও বৃহস্পতিবার হিন্দু হস্টেল আবাসিকদের জন্য খুলে দেওয়া যায়নি। ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা এই নিয়ে শুক্রবার উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার কাছে দরবার করতে যান। কিন্তু উপাচার্য তাঁদের সটান সরকার দেখিয়ে দেন বলে জানান ছাত্রেরা। এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।
অন্যতম আন্দোলনকারী ছাত্র শুভজিৎ সরকার জানান, উপাচার্য এই বিষয়ে তাঁদের উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। কিন্তু সরকারের ঘরে বল ঠেলা কেন? উপাচার্য এ দিনও জানান, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সংস্কার করে আবাসিকদের থাকতে দেওয়া সম্ভব বলে সরকারের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছিল। তিনি এ কথা জানাননি। তাই এই বিষয়ে তাঁর কিছু বলারও নেই। সেই জন্যই এ দিন তিনি পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। ‘‘যে-দিন সেফটি, সিকিওরিটি সার্টিফিকেট পাব, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হস্টেল ছাত্রদের হাতে তুলে দেব,’’ ঘোষণা করেছেন অনুরাধাদেবী।
কিছু কিছু জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার পরেও হিন্দু হস্টেলে ঢুকতে না-পেরে পড়ুয়ারা বৃহস্পতিবার সারা রাত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করেন। এ দিন তাঁরা ধর্না তুলে নিয়েছেন। হিন্দু হস্টেলের কাছে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটকের সামনে মেঝের কাজ হচ্ছে। ওই হস্টেলের একটি অংশ ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সংস্কার করে আবাসিকদের থাকতে দেওয়া সম্ভব বলে অক্টোবরে প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তার পরে আন্দোলন স্থগিত রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। হস্টেলের দু’টি ঘরে জিনিসপত্রও আবাসিকেরা রাখতে শুরু করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, হস্টেল আপাতত খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হস্টেল খুলতে আরও দিন পনেরো সময় লাগবে।