Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভারতীকে ধরতে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

সোনা-প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে। সিআইডির আর্জি মেনেই পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এবং তাঁর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে শনিবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ঘাটাল আদালত। দু’জনের বিরুদ্ধে ‘লুক-আউট’ নোটিস জারির জন্যও আবেদন করেছে সিআইডি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল ও কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৬
Share: Save:

সোনা-প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে। সিআইডির আর্জি মেনেই পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এবং তাঁর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে শনিবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ঘাটাল আদালত। দু’জনের বিরুদ্ধে ‘লুক-আউট’ নোটিস জারির জন্যও আবেদন করেছে সিআইডি। খড়্গপুরের অন্য মামলার সূত্রে শনিবার তল্লাশি চলেছে ভারতী ‘ঘনিষ্ঠ’ পুলিশকর্মী রাজশেখর পাইনের বাড়িতে। ওই মামলারও তদন্ত করছে সিআইডি।

দাসপুরের চন্দন মাঝির অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ভারতীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা। চন্দনের অভিযোগ, নোটবন্দির সময় সোনা জমা দিয়েও টাকা পাননি। সেই মামলার তদন্তেই ভারতী ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’দের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি। গোড়ায় অবশ্য অভিযুক্ত তালিকায় ভারতীর নাম ছিল না। তা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে।

তদন্তকারীদের অনুমান, উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন ভারতী। গোড়ায় কয়েক দিন দিল্লিতে থাকলেও পরে গুজরাত হয়ে ফের উত্তর ভারতে ফিরেছেন। সঙ্গে সুজিতও রয়েছে। সিআইডির এক কর্তা জানান, ভারতীর খোঁজে বিশেষ দল গড়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: থাকেন পাকা বাড়িতে, পেলেন ঘর গড়ার টাকা

ভারতী এ দিনও বলেন, ‘‘আমি গরু পাচারে বাধা দিয়েছিলাম বলে শাসক দল আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। উচ্চ থেকে উচ্চতর আদালতে যাব।’’ তাঁর আরও দাবি, তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া জমি-বাড়ির দলিল বৈধ।

রাজশেখরের ব্যারাকপুরের এই বাড়িতেই তল্লাশি চলে। —নিজস্ব চিত্র

দাসপুর থানার পুরনো মামলাতেই শুক্রবার গ্রেফতার হন ঘাটাল থানার প্রাক্তন ওসি চিত্ত পাল এবং ঘাটালের প্রাক্তন এসআই শুভঙ্কর দে। শনিবার তাঁদের ঘাটাল আদালতে হাজির করে ৬ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। চন্দনের মতোই দাসপুরের মামুদপুরের এক যুবকও পরে ভারতীর বিরুদ্ধে সরাসরি সোনা-প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। পাশাপাশি ভারতীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের মামলা হয়েছে খড়্গপুর লোকাল থানায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘খড়্গপুরের মামলার তদন্তভার সিআইডি নিয়েছে। দাসপুর থানার দ্বিতীয় মামলাও পরে সিআইডি-কে দেওয়া হবে।’’

খড়্গপুরের মামলায় ভারতী ছাড়াও নাম রয়েছে খড়্গপুর লোকালের প্রাক্তন ওসি রাজশেখর-সহ দুই পুলিশকর্মীর। সেই সূত্রেই এ দিন অভিযান চলে রাজশেখরের ব্যারাকপুরের মণিরামপুরের বাড়িতে। অভিযান হয়েছে তাঁর দাসপুর ও মোহনপুরের বাড়িতেও। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, রাজশেখর শুক্রবার পর্যন্ত মণিরামপুরে ছিলেন। দুই পুলিশকর্মী গ্রেফতারের খবর জেনেই উধাও হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE