রাজ্যে নির্মীয়মাণ বিভিন্ন রেল প্রকল্পের দ্রুত রূপায়ণে জমির প্রশ্নে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাইলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শনিবার কলকাতা সফরে এসে সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুরুলিয়া-মসাগ্রাম-হাওড়া পথে মেমু ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেন অশ্বিনী। তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে রেলমন্ত্রী সেখানে বলেন, ‘‘যেখানে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ হচ্ছে সেখানে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জমির ব্যবস্থা করুন।’’
রেলমন্ত্রী জানান, ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কলকাতায় মাত্র ২৮ কিলোমিটার মেট্রোপথ তৈরি হয়েছিল। পরের ১০ বছরে (নরেন্দ্র মোদীর সময়ে) ৪১ কিলোমিটার মেট্রোপথ তৈরি হয়েছে। খিদিরপুরে জমি পেতে গিয়ে দীর্ঘ বিলম্বের কথা বলেন তিনি। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথে চিংড়িঘাটায় পুলিশ সাময়িক ভাবে রাস্তা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা না করায় ছ’মাসের বেশি কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ওই অংশে মেট্রো পথ সংযুক্তির প্রয়োজনে রাতে সপ্তাহখানেক বিকল্প রাস্তা দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করার আবেদন জানালেও তাতে কলকাতা পুলিশ সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ। ইউপিএ সরকারের শেষ ৫ বছরে রাজ্যে রেলে ৪৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। সে জায়গায় কেন্দ্র এখন এ রাজ্যের জন্য ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
এ দিন রেলমন্ত্রী কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের এক সম্মেলনে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালও। সেখানে রেলমন্ত্রী জানান, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত রেলপথকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে উদ্যোগী হচ্ছে কেন্দ্র। প্রয়োজনে তৃতীয় বা চতুর্থ লাইন নির্মাণ করার পাশাপাশি বাইপাস লাইন, পণ্য ওঠানামা করার টার্মিনাল-সহ নানা পরিকাঠামো গড়া হবে। এ ছাড়াও, শিলিগুড়ি করিডরে রেলের ডবল লাইন থেকে চারলাইন করা হবে। বিহার এবং নেপাল সীমান্তের ঠাকুরগঞ্জ এবং আরারিয়া থেকে রেললাইন তৈরি হলে শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে নিউ মাল পর্যন্ত রেলপথকেও একই রকম গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রসারিত করা হবে। এ দিন সম্মেলনে উপস্থিত রেলের যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সুরক্ষার স্বার্থে পণ্যের গুণমান বজায় রাখার ‘পরামর্শ’দেন রেলমন্ত্রী।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)