মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার একটি স্কুলে প্রধানশিক্ষককে মারধরের ঘটনায় স্কুলের পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি অরুণময় দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাঁকে পার্ক স্ট্রিট থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এর পর দুপুরে নিউ ফরাক্কা থানার পুলিশের একটি দল গিয়ে ধৃতকে জেলায় নিয়ে আসে।
প্রধানশিক্ষককে মারধরের ঘটনার পর পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অরুণময়। তিনি এলাকায় তৃণমূলনেতা বলেই পরিচিত। অরুণময়ের গ্রেফতারিতে খুশি নন ফরাক্কার বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। বিধায়ক বলেন, ‘‘প্রধানশিক্ষক স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতির নামে অভিযোগ করে ঠিক করেননি। তার ভিত্তিতে পুলিশেরও ওঁকে গ্রেফতার করা উচিত হয়নি।’’
বিধায়ক বলেন, ‘‘অরুণময়ের কোনও অপরাধ ছিল না। উনি সমস্যার সমাধান করতে গিয়েছিলেন। প্রধানশিক্ষক পরিচালন সমিতির সভাপতিকে ডেকে তাঁর নামে অভিযোগ করে ঠিক করেননি। ফরাক্কা পুলিশ না-বললে কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে না।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন অরুণময়-সহ আরও তিন শিক্ষক। দিন দশেক আগে প্রধানশিক্ষককে মারধরে মূল অভিযুক্ত শিক্ষক সুজন স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।
আক্রান্ত প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘‘দেরিতে হলেও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছেন। সভাপতির উপস্থিতিতে ১২ জন শিক্ষককে সভা থেকে বার করে দেওয়া হয়। তার পর চার জন শিক্ষক আমার উপর হামলা চালান। সভাপতি এটা কি ঠিক করেছেন? এ ছাড়াও বিধায়ক স্কুলে গিয়ে কয়েক জন শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে যে নাটক করে আমার বদলির দাবি তুলেছিলেন, সেটা কি উনি ঠিক করেছেন?’’