সরকারি হাসপাতালে হাজিরা-কারচুপিতে যত দোষ, নন্দ ঘোষ সাব্যস্ত করে তাকেই নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অচিরেই পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় বহাল তবিয়তে ফিরে এসেছে সেই হাজিরা খাতা!
চিকিৎসকেরা যাতে সময়মতো হাসপাতালে আসেন এবং সময়ের আগে যাতে হাসপাতাল থেকে চলে না-যান, সেটা নিশ্চিত করতে বাধ্যতামূলক ভাবে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দিয়ে হাজিরা চালু করেছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া বা এমসিআই। কারণ, খাতায় হাজিরায় অনেক কারচুপি করা যেতে পারে এবং সেটা ব্যাপক হারে হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তার জেরেই এমসিআই-এর নির্দেশে সব মেডিক্যাল কলেজে খাতায় হাজিরা বন্ধ হয়ে যায়। তাতে ক্ষোভ ছিল চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের।
এই ভাবে কিছু দিন চলার পরে পরিস্থিতিতে ফের পরিবর্তন ঘটেছে বিস্তর। মাসখানেক হল নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়ে দিয়েছে, বায়োমেট্রিক হাজিরার পাশাপাশি রাজ্যে আপাতত খাতাও স্বমহিমায় বহাল থাকছে! বায়োমেট্রিক যন্ত্র সর্বত্র নির্ভুল ভাবে কাজ করছে, এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরে খাতার ব্যবহার বন্ধ করা হবে।