Advertisement
E-Paper

বাগডোগরা এবার মেজর বিমানবন্দর

উল্লেখ্য, দেশের বড় বিমানবন্দরগুলিতে কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রকের ভাষায় সরকারিভাবে ‘মেজর’ বিমানবন্দর বলা হয়। বাকি, বিমানবন্দরগুলিকে ‘মাইনর’ বিমানবন্দর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। গত মাসের মাঝামাঝি দিল্লিতে বিমান মন্ত্রকের তরফে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর লিখিত ভাবে এএআই-র চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫৪
বাগডোগরা বিমানবন্দর।

বাগডোগরা বিমানবন্দর।

কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই বা বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের মতো ‘মেজর’ বিমানবন্দরের তকমা পেল বাগডোগরা বিমানবন্দর। দেশের ১০৫টি বিমানবন্দরের মধ্যে ২৫টিকে এতদিন মেজর বিমানবন্দর বলে চিহ্নিত করা ছিল। নতুন করে যোগ হল দেশের তিনটি বিমানবন্দর- বাগডোগরা, বারাণসী এবং অমৃতসর বিমানবন্দর। সরকারি সূত্রের খবর খবর, পরপর দু’টি আর্থিক বছরে যাত্রী সংখ্যা ১৫ লক্ষ ছাপিয়ে যাওয়ায় সমীক্ষার পরে বাগডোগরাকে ওই শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। এতে এ বার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নতুন বিনিয়োগ থেকে পরিষেবা, আর্থিক প্রকল্প, বিমান সংস্থাগুলির ফি-সমস্ত কিছুই এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই) পাশাপাশি দেখবে এয়ারপোর্ট ইকনমিক রেগুলাটরি অথরিটি (এরা)।

উল্লেখ্য, দেশের বড় বিমানবন্দরগুলিতে কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রকের ভাষায় সরকারিভাবে ‘মেজর’ বিমানবন্দর বলা হয়। বাকি, বিমানবন্দরগুলিকে ‘মাইনর’ বিমানবন্দর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। গত মাসের মাঝামাঝি দিল্লিতে বিমান মন্ত্রকের তরফে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর লিখিত ভাবে এএআই-র চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি ওই নির্দেশের কপি বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসেছে। গত ২০১৬-২০১৭ সালে বাগডোগরা বিমানবন্দের যাত্রী সংখ্যা ১৫ লক্ষ প্রথমবার ছাড়ায়। ২০১৭-১৮ আর্থিক সালে তা গিয়ে দাঁডিয়েছে ২২ লক্ষ ৫০ হাজারের মতো। সেখানে বারাণসী যাত্রী সংখ্যা হয়েছে ২০ লক্ষ ৮ হাজার এবং অমৃতসরের ২৩ লক্ষ ১০ হাজার যাত্রীর মতো। এতদিন দেশের এই প্রান্তে কলকাতা, পটনা, গুয়াহাটি এবং ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর মেজর বিমানবন্দর হিসাবে চিহ্নিত ছিল।

বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুব্রমণী পি বলেন, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরের মুকুটে নতুন পালক জুড়ল। দেশের বড় বিমানবন্দরগুলির সঙ্গে মেজর বিমানবন্দর হিসাবে বাগডোগরা স্থান পেল। এ বার পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজ আমরা দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি। নতুন টার্নিমাল-সহ আধুনিকীকরণ এর অন্যতম।’’

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের দেওয়া ২৩ একর জমিতে প্রথমে ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) ক্যাট-২ পরিষেবা চালু করা হয়। তার পরেই বাড়তে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে বাগডোগরার বিমান যোগাযোগ। সকাল-সন্ধ্যার কলকাতার নতুন বিমান ছাড়াও হায়দরাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ের মতো শহরের সঙ্গে সরাসরি বাগডোগরার বিমান চালু হয়ে যায়। এর পরেই বিমানবন্দরে সম্প্রসারণে জোর দেওয়া হয়। বর্তমানে ৩৩ জোড়া বিমান রোজ বাগডোগরা থেকে যাতায়াত করছে। তাতে ছোট টার্মিনাল ভবনের জন্য রোজই পরিষেবা নিয়ে সমস্যা দেখা গিয়েছে।

বিশেষ করে দুপুর ১টা থেকে ৪টা অবধি বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঘন্টা ৩ হাজারের বেশি যাত্রী থাকেন। কিন্তু বাগডোগরার বিমানবন্দরের টার্মিনালের ধারণ ক্ষমতা ঘন্টায় ৭০০ যাত্রীর মত।

এতে লাইন, ধাক্কাধাক্কি, বসার আসন, শৌচালয়ের সমস্যা ছাড়াও বোর্ডিং এবং সিকিউরিটি চেকইনের সময় যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ১০৪ একর জমি রাজ্যের কাছে চেয়েছে রাজ্য। সরকারি জমি এলাকায় আর না থাকায় ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি বা চা বাগানের জমির দাম মেটানোর নিয়ে এএআই-র সঙ্গে রাজ্য সরকারের টানাপোড়েন চলে। গত বছরের শেষ নাগাদ দেশের মধ্যে প্রথবার বাগডোগরার জমির জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে এএআই বোর্ড। বিমানবন্দর অধিকর্তা জানান, জমি চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে।

Bagdogra Airport Airport Authority of INDIA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy