রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় গরিব মানুষদের চিকিৎসা কী ভাবে চলছে, তা খতিয়ে দেখতে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে এলেন বাংলাদেশের একটি বিমা সংস্থার দুই প্রতিনিধি। ‘গ্রিন ডেল্টা ইন্সিওর্যান্স কোম্পানি’ নামে ওই সংস্থার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াফি এস এম খান ও পদস্থ আধিকারিক শুভাশিস বড়ুয়া যোজনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় ভারতে যে ভাবে অল্প খরচে গরিব মানুষদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়, তা বাংলাদেশে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিকেরা।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন আলোচনায় রাষ্ট্রীয় এই যোজনায় বিভিন্ন পেশার দুঃস্থ মানুষরা কীভাবে সাহায্য পান, কী পদ্ধতিতে উপকৃত পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়— এ রকম নানা বিষয় উঠে এসেছে। পরে তমলুক শহরের তিনটি নার্সিংহোমে গিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে খোঁজখবরও নেন বিমা সংস্থার আধিকারিকরা। সংস্থার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানান, আগামী অক্টোবর মাস থেকে বাংলাদেশে এই জাতীয় প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতের একটি স্বাস্থ্য বিমা সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করবে তাঁর সংস্থা।
ওয়াফি বলেন, ‘‘আমাদের দেশে এই রকমের স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা নেই। কিন্তু দরিদ্র জনগণের জন্য এটা খুবই ভাল প্রকল্প। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই যোজনার কাজ ভাল হচ্ছে বলে আমরা এখানে এসেছি।’’ এ দেশের যে সংস্থার সঙ্গে তাঁদের কাজ করার কথা, সেই ‘হেরিটেজ হেলথ পিপিএ’-র পদস্থ আধিকারিক আমিদুল আলমও বলেন, ‘‘ভারতে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনায় যে ভাবে কাজ হচ্ছে, একই ভাবে বাংলাদেশে তা চালুর জন্য আমরা সব রকম সাহায্য করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy