খুন ও লুঠপাটের নানা ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করল কুলটির নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ধৃতেরা বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় নানা দুষ্কর্মে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। এই গ্রেফতারের খবর পাওয়ার পরেই ধৃতদের জেরা করতে কুলটি পৌঁছন ঝাড়খণ্ড পুলিশের অফিসারেরা।
পুলিশ জানায়, হারুন আনসারি ও আইনুল মিঁয়া নামে ওই দু’জন কুলটির চবকা এলাকায় যৌনপল্লিতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে খবর মিলেছিল। বুধবার রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, মাইথন, নারায়ণপুর, নিরশা-সহ নানা থানা এলাকায় খুন, ছিনতাই, লুঠপাটের অনেক অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক জেরায় ধৃতেরা বিভিন্ন দুষ্কর্মের বিবরণ দিয়েছে বলেও পুলিশের দাবি।
ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নারায়ণপুর এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লুঠের অভিযোগ রয়েছে হারুনের বিরুদ্ধে। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় ত্রাস বলে পরিচিত বেশ কিছু দুষ্কৃতী হারুনের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বলে পুলিশ জানায়। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম, জামতাড়া, জামুই, তোপচাঁচ, নারায়ণপুরে অপরাধ ঘটিয়েই এ রাজ্যে চলে আসে অনেক দুষ্কৃতী। অনেক সময়ে তারা নিয়ামতপুর লাগোয়া নানা যৌনপল্লি এলাকায় আত্মগোপন করে থাকে। এই দু’জনও সে ভাবেই ছিল। সম্প্রতি তাদের কাছে কিছু অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা বাড়ে, যা দেখে এলাকার কিছু বাসিন্দার সন্দেহ হয়। সেই সূত্রে খবর পেয়েই দু’জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের কাছে একটি পাইপগান ও দু’রাউন্ড কার্তুজ মিলেছে।