Advertisement
০১ মে ২০২৪
Arrest

আসানসোলে নগদ ১৬ লক্ষ টাকা, সাড়ে চার কেজি রুপোর বাট ও গয়না-সহ আরপিএফের হাতে আটক দুই

অভিযুক্তদের ৪ নম্বর প্লাটফর্মে দেখে সন্দেহ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কথায় অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে। তার পর তাঁদের ব্যাগ খুলিয়ে তল্লাশি করা হয়।

An image of the accused persons

১৬ লক্ষ টাকা ও প্রায় সাড়ে চার কেজি রুপোর বাট ও গহনা সহ দু’জনকে আটক করল আসানসোল আরপিএফ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ০২:০৪
Share: Save:

নগদ ১৬ লক্ষ টাকা, প্রায় সাড়ে চার কেজি রুপোর বাট ও গয়না-সহ দু’জনকে আটক করল আসানসোলের রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)। অভিযুক্তদের বুধবার শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ খবর জানিয়েছেন আরপিএফের আসানসোল ডিভিশনের কমান্ড্যান্ট রাহুল রাজ। তিনি জানিয়েছেন, ওই দুই অভিযুক্তের নাম শ্রীকান্ত কুসওহা ও মাজন মাহাতো। প্রথম জন আসানসোল মুন্সিবাজারের বাসিন্দা। দ্বিতীয় জনের বাড়ি রানিগঞ্জের জেকে নগর লাইন পারে।

আরপিএফ জানিয়েছে, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ অভিযুক্তেরা হাওড়া-নিউ দিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেসের জন্য আসানসোল স্টেশনের ৪ নম্বর প্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। তাঁদের গন্তব্য ছিল উত্তরপ্রদেশের টুন্ডলা। কিন্তু ট্রেনে ওঠার আগেই সেখানে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পৌঁছয় আরপিএফ। তাঁরা অভিযুক্তদের ৪ নম্বর প্লাটফর্মে দেখে সন্দেহ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কথায় অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে। তার পর তাঁদের ব্যাগ খুলিয়ে তল্লাশি করা হয়। তাঁদের ব্যাগ থেকে নগদ ১৬ লক্ষ ১৭ হাজার ৩০০ টাকা, ৪ কেজি ৪৭৫ গ্রাম রুপোর বাট ও গয়না উদ্ধার করেন আধিকারিকেরা। যার আনুমানিক বাজারদর প্রায় ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৪৩ টাকা। এর পর আরপিএফ আধিকারিকেরা শুল্ক দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের হাতে দুই অভিযুক্ত-সহ বাজেয়াপ্ত নগদ টাকা ও রুপোর সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

কোথা থেকে অভিযুক্তরা এত টাকা এবং রুপোর বাট-গহনা পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখছে শুল্ক দফতর। এই চক্রে আর কারা কারা যুক্ত আছেন তার খোঁজও নেওয়া শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Silver Jewellery Smugglers Asansol RPF
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE