মরণফাঁদ দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ফের মৃত্যু। গাড়িতে কলকাতা যাওয়ার সময়ে ওই সড়কের ধারে পেট্রোল পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক দম্পতি-সহ তিন আরোহীর। সকলেই কাটোয়ার বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে হুগলির দাদপুরের মহেশ্বরপুরে। গুরুতর জখম অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান গাড়ির আরোহী গৌতম খান (৪৮) এবং তাঁর ভাগ্নে অরিন্দম সাধু (৩৬)। গৌতমবাবুর স্ত্রী কণিকাদেবীকেও (৪১) ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তিনি সন্ধ্যায় মারা যান। এই দুর্ঘটনায় ফের ওই জাতীয় সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
পুলিশ জানায়, কাটোয়ার মাধবীতলার বাসিন্দা গৌতমবাবুর কাঠের আসবাবপত্রের দোকান রয়েছে। স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য তিনি এ দিন কলকাতায় যাচ্ছিলেন। সঙ্গে নিয়েছিলেন ভাগ্নে অরিন্দমকে। গৌতমবাবুই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। মহেশ্বরপুরে রাজহাট পেট্রোল পাম্পে তেল নেওয়ার জন্য ট্রাকটির ওই ঢোকার কথা ছিল। কিন্তু পাম্পে অন্য গাড়ি থাকায় সেটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিল। গাড়িটি ধাক্কা মেরে ট্রাকটির নীচে ঢুকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা সংঘর্ষের বিকট আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশও আসে। গাড়ির দরজা ভেঙে তিন জনকে উদ্ধার করা হয়। কণিকাদেবীর মাথা এবং হাতে আঘাত থাকায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারও করেন।