কয়েকদিন আগে নবান্ন থেকে সরকারি কর্মচারীদের নির্দিষ্ট সময়ে কাজে আসার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার বর্ধমানেও কর্মীরা সময়ে হাজির হয়েছেন কি না দেখতে অভিযান চালালেন জেলাশাসক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারের ওই আচমকা অভিযানে ৩৩ জন কর্মচারীকে শো-কজ করা হয়েছে। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, ‘‘শো-কজ ছাড়াও ৯১ জনের হাজিরা খাতায় লাল কালির দাগ পড়েছে। অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে আরও ১৩৪ জনকে।” প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘১১টার পর যে সব কর্মচারী দফতরে এসেছেন, তাঁদের কারণ দর্শনোর চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাঁরা সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে অফিসে এসেছেন, তাঁদের হাজিরা খাতায় লাল কালি দেওয়া হয়েছে। আর কোনও কারণ ছাড়া দফতরে আসেননি এমন কর্মীদের অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।”
আগামী ৫ অগস্ট বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সে জন্যই কী এমন অভিযান?
জেলা প্রশাসনের দাবি, নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরে জেলা প্রশাসন প্রতিটি সরকারি দফতরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে কাজ হয়েছে কি না দেখতেই এ দিনের অভিযান। এ দিন জেলা প্রশাসনের একটি দল জেলাশাসকের দফতর, জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, খাদ্য দফতর, জেলা পরিষদ, মহকুমাশাসকের দফতর ও ব্লক অফিসে হাজির হয়। সকাল সাড়ে দশটা থেকে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা ও আসানসোলে চার জন করে, বর্ধমান উত্তরে এক জন ও বর্ধমান সদরে চার কর্মীকে দেরিতে আসায় শো-কজ করা হয়েছে। তবে কাটোয়া ও দুর্গাপুরে কোনও কর্মীকে ‘শাস্তি’র মুখে পড়তে হয়নি। এ ছাড়া ৩১টি ব্লকের ২০ জন কর্মীকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
এর আগে জেলা প্রশাসনের নির্দশে স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের শিক্ষকদের হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি করতে দেখা গিয়েছে। কাটোয়ার কেডিআই-সহ বিভিন্ন স্কুলে বৈঠক করে আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সমস্ত শিক্ষকের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্কুলে থাকা বাধ্যতামূলক। তা না হলে শিক্ষা দফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ বার সরকারি অফিসেও শুরু হয়েছে সময়ে আসার নজরদারি। প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে কর্মচারীরা দফতর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন কি না, তাও নজরে রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy