আসানসোল গ্রেফতারের পরে। নিজস্ব চিত্র
মাঝ রাতে প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া অন্ধকার জায়গায় ঘোরাফেরা করছিল কয়েকজন। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। রেলের অধীনস্থ চত্বর বলে থানা থেকে খবর যায় আরপিএফের কাছে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ এবং আরপিএফ যৌথ অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল। পুলিশ এবং আরপিএফের অনুমান, ধৃতেরা চলন্ত ট্রেনে লুঠপাটের ছক কষেছিল। এলাকার কিছু লোকজন দেখে ফেলায় ভেস্তে যায় তাদের পরিকল্পনা।
আরপিএফ এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া টানেলের কাছে অন্ধকার একটি জায়গায় লুকিয়েছিল ধৃতেরা। তখন অল্পস্বল্প বৃষ্টিও হচ্ছিল। রাত প্রায় সওয়া ১২টা নাগাদ টানেল দিয়ে যাতায়াতের সময়ে কিছু এলাকাবাসী ছায়ামূর্তির মতো কয়েকজনকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরফেরা করতে দেখেন। তাঁরাই বিষয়টি আসানসোল উত্তর থানায় বিষয়টি জানান।
আরপিএফ সুত্রে জানা গিয়েছে, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই জায়গায় যাওয়া হয়। চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় পাঁচ জনকে পাকড়াও করা হয়। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে তাজা কার্তুজ ভর্তি একটি উন্নত দেশি পাইপগান, কয়েক রাউন্ড গুলি, ছুরি, ভোজালি ও শাবল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ এবং আরপিএফের দাবি, চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের জিনিস লুঠপাটের জন্যই ধৃতেরা সেখানে জড়ো হয়েছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছে। ওই জায়গাটি প্ল্যাটফর্মের অদূরে, তাই ট্রেনের গতি কম থাকে। তাই সেখান থেকে ট্রেনে উঠে পড়ার জন্য তারা সেখানে অপেক্ষা করছিল বলে জানিয়েছে, দাবি তদন্তকারীদের। ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ হায়দার আলি রিয়াজ, মহম্মদ ইরবান ও মহম্মদ রাজু বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে ছিল হিরাপুরের জামালুদ্দিন খান ও সীতারামপুরের টুনটুন মাহাতো।
পুলিশের দাবি, জেরায় জানা গিয়েছে, এই দলের পাণ্ডা নানা দুষ্কর্মে অভিযুক্ত মুঙ্গেরের মহম্মদ বাবলু। আরপিএফ জানায়, তার খোঁজ চলছে। পুলিশএবং আরপিএফের আরও দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, আগেও তারা বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনে লুঠপাট চালিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy