বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ স্তরের পাঁচ পদে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবার সেই তদন্ত রিপোর্ট বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির সভায় পেশ করলেন উপাচার্য নিমাই সাহা। ঘণ্টা দুয়েক আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়, তিন সদস্যের কমিটি ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী করা উচিত, তা নিয়ে মত দেবে।
উপাচার্য নিমাইবাবু বলেন, ‘‘রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইমালি, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ উপাচার্য সুব্রত দে ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তন্ময় দাশগুপ্তকে নিয়ে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই বিশাল রিপোর্ট আমাদের পক্ষে খুঁটিয়ে পড়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয় বলেই কমিটি গঠন করার ব্যাপারে মত দিয়েছেন সমিতির সদস্যরা।” প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অনিলবাবু শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইডি গাইড ছিলেন।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার, দূরশিক্ষা বিভাগের দুই সহ-অধিকর্তা সহ পাঁচটি পদে নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে বলে কয়েকজন শিক্ষক বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। আচার্যের নির্দেশে উচ্চশিক্ষা দফতর পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপকরঞ্জন মণ্ডলকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। মাস খানেক আগে তদন্ত রিপোর্ট উচ্চশিক্ষা দফতরে জমা দেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিগত উপাচার্যের আমলে ওই পাঁচ নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। গত সপ্তাহে রিপোর্টটি উপাচার্যের হাতে তুলে দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলে উচ্চ শিক্ষা দফতর।