পরনে লুঙ্গি, গেঞ্জি। কাঁধে গামছা। বাঁশের মাচার কিছুটা উদাস ভঙ্গিতে বসে রয়েছেন শাসকদলের নেতা। হাতে বন্দুক। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অমরপুর অঞ্চলের বিষ্ণুপুর গ্রামের ৭ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি সইদুর রহমান মোল্লা ওরফে বুলেটের এমন একটি ছবি বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, শাসকদলের নেতারা এ ভাবে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ায়। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, ওই ছবিটি অনেক পুরনো। বুলেটের হাতে যেটা রয়েছে, সেটা একটি খেলনা বন্দুক। কেউ চক্রান্ত করে ওই ছবিটি ভাইরাল করে দিয়েছে। একই বক্তব্য সইদুরেরও।
অমরপুর অঞ্চলে শাসকদলের সক্রিয় কর্মী বলেই পরিচিত সইদুর। স্থানীয় সূত্রে দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিষ্ণুপুর গ্রামে এক সিপিএম কর্মী খুন হয়েছিলেন। ওই খুনের ঘটনায় সইদুর অভিযুক্ত। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি। এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের খাতায় তাঁকে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সইদুরের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি অস্ত্র’ হাতে এলাকায় দাপট দেখানোর অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আউশগ্রামে বিজেপির কনভেনর চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই কথা বলেন সিপিএম নেতা সুদীপ্ত দত্তও। তিনি বলেন, ‘‘সত্যতা আছে বলেই তৃণমূল নেতার ছবি ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’’
এ বিষয়ে অমরপুরের তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোল্লা বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার কানে এসেছে। আমি বুলেটের সঙ্গে কথা বলি। তার পর জানতে পারি, একটি খেলনা বন্দুক হাতে ওই ছবিটি প্রায় ছ’বছর আগের তোলা। সেটি এখন কেউ চক্রান্ত করে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল করে দিয়েছে।’’ সইদুরও বলেন, ‘‘প্রায় ছ’বছর আগে গ্রামের একটি মাচায় আমি বসেছিলাম। তখন একজন একটি খেলনা বন্দুক নিয়ে আসে। সবাই দেখাদেখি করছিল বলে আমিও হাতে তুলে দেখছিলাম। সেই সময় কেউ আমার ছবি তুলে নিয়েছিল। এখন চক্রান্ত করে ভাইরাল করে দিয়েছে।’’