Advertisement
E-Paper

জন্ম হয়েছিল ‘মৎস্যকন্যা’র, অনেক চেষ্টা করেও কেন বাঁচানো গেল না, জানালেন চিকিৎসকরা

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাটোয়া থানার করজগ্রামের এক মহিলার প্রসববেদনা হলে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল মহকুমা হাসপাতালে। রাত একটা নাগাদ মহিলার অস্ত্রোপচার হয়।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ০১:২৮
মেয়ে যেন মৎস্যকন্যা।

মেয়ে যেন মৎস্যকন্যা। —প্রতীকী চিত্র।

মানবীর গর্ভে জন্ম হয়েছিল এক ‘মৎস্যকন্যা’র। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারলেন না চিকিৎসকেরা। কেন বাঁচানো গেল না, তার কারণও ব্যাখ্যা করলেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ঘটনা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাটোয়া থানার করজগ্রামের এক মহিলার প্রসববেদনা হলে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল মহকুমা হাসপাতালে। রাত একটা নাগাদ মহিলার অস্ত্রোপচার হয়। কন্যাসন্তান প্রসব করেছিলেন ওই প্রসূতি। তবে নবজাতককে দেখার পরেই অবাক হয়ে যান চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। মেয়ে যেন মৎস্যকন্যা। শরীরের ওপরের দিক মানুষের মত হলেও কোমর থেকে দু’টি পা জোড়া। ঠিক যেন মাছের লেজ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নবজাতককে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকরা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এসএনসিইউতে রেখে বিশেষ চিকিৎসা শুরু করেছিলেন। অস্ত্রোপচার করেছিলেন স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার ৩৩ বছরের কর্মজীবনে এই ধরনের শিশুর জন্ম দেখিনি। বিরলতম ঘটনা। আজ ভোরের দিকে শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। তবে মা সুস্থ রয়েছেন। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। ’’

চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই ধরনের শিশুকে ‘মারমেড বেবি’ বলে। শিশুকন্যাটির দেহের উপরিভাগ মানব শরীর হলেও কোমরের নিচ থেকে পা দুটি জোড়া লেগে মাছের লেজের মত দেখতে লাগে। বলেন, ‘‘রূপকথা বা গ্রীক গল্পে মৎসকন্যাদের কথা শোনা যায়। এই ধরনের দেখতে মেয়েদের অস্ত্রোপচার করে বাঁচানো যায় না। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি।’’

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিককালে কাটোয়া তথা জেলায় মারমেড বেবির জন্মের কোনও নজির নেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ‘মারমেড বেবি’ সবসময়ই ‘ফিমেল’ হয়। বেশিক্ষণ বাঁচেও না।

New Born Medical Science
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy