Advertisement
E-Paper

প্রতিবেশীদের লড়াইয়ের মান রাখলেন বাপন

তরতাজা ছেলেটার প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন গ্রামের সবাই। রাস্তায় নেমে চাঁদা তোলা, প্রশাসনের কাছে হাত পাতা কিছুই বাকি ছিল না। সেই পরিশ্রম, প্রার্থনার মান রেখেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে কালনার বাপন মালিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০০:২২

তরতাজা ছেলেটার প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন গ্রামের সবাই। রাস্তায় নেমে চাঁদা তোলা, প্রশাসনের কাছে হাত পাতা কিছুই বাকি ছিল না। সেই পরিশ্রম, প্রার্থনার মান রেখেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে কালনার বাপন মালিক।

বাইশ বছর বয়সে দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল পুরতানহাটের ওই তরুণের। গত বছর পুজোর আগে ধরা পড়ে এই মারণ রোগ। সংসারের একমাত্র রোজগেরে, পেশায় রাজমিস্ত্রি বাপনের অসুখের কথা জেনে দিশেহারা হয়ে যান মা। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, কি়ডনি প্রতিস্থাপন না হলে বাপনকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। মা সবিতা মালিক গোড়া থেকেই নিজের কিডনি দিয়ে বাঁচাতে চেয়েছিলেন ছেলেকে। কিন্তু বাধা ছিল টাকা।

এই পরিস্থিতিতে গরিব পরিবারটির পাশে দাঁড়ান এলাকার এক দল যুবক। বাপনের চিকিৎসার জন্য রাস্তায় নেমে অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন তাঁরা। এগিয়ে আসেন কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ প্রমুখেরা। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার পরে ২ মার্চ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন হয় বাপনের। ছেলেকে একটি কিডনি দেন মা সবিতাদেবী। কিছুদিন হাসপাতালে থাকার পরে আপাতত দু’জনেই সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।

সেই সময় বাপনের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই দিয়েছিলেন প্রতিবেশী অমিত চট্টোপাধ্যায়, অর্ক মুখোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়েরা। ঘরের ছেলে ঘরে ফেরার পরে সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ দিয়ে কালনা শহর এবং তার আশপাশে একটি মিছিলও করেন তাঁরা। মিছিলে বাপনের মতো আরও অনেকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আর্জি জানান তাঁরা।

বাপন সুস্থ হওয়ার পরে তাঁর বাড়ি গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন মহকুমাশাসক। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘ছেলেটির প্রতিবেশীরা ওকে সুস্থ করে আনার প্রতিজ্ঞা করেছিল। করে দেখিয়েছে। ওদের দেখে অন্যরা সাহস পাবে।’’ আর বাপন বলেন, ‘‘পাড়ার বন্ধুদের জন্যই আমি নতুন জীবন ফিরে পেলাম।’’

Kalna Kidney Transplant
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy