ঝড় আসার আগে শসার জমির মাচা ঠিক করছেন এক চাষি। কালনার কুশোডাঙায়। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল।
মাঠে রয়েছে পাট, তিল ও নানা আনাজ। পূর্বস্থলী ২, কালনা ২, কাটোয়া-সহ জেলার বহু এলাকাতেই আম, লিচু ও কলাবাগান। রেমালের আঘাত থেকে ফসল বাঁচাতে নানা পরামর্শ দিয়েছে কৃষি দফতর। লিফলেট বিলি করা হচ্ছে।
রেমালের প্রভাবে ঝড় দমকা হাওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ২৭ মে পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি দফতর। তাদের পরামর্শ, মাঠের কাজ ওই সময় বন্ধ রাখতে হবে। ফসল তোলা বা কাটার উপযোগী হলে তা কেটে দ্রুত খামারে তুলতে হবে। ভারী বৃষ্টি হলে জমিতে জল জমতে পারে। জমা জল বার করতে নালা কেটে রাখতে হবে। শসা, বরবটি, লাউ, ঝিঙে, লাফার মতো বহু আনাজ চাষ হয় মাচায়। মাচা শক্ত রাখতে হবে। পানের বরজ শক্ত করে বেঁধে রাখতে হবে। দুর্যোগ কাটলে জমিতে ছত্রাকনাশক ছড়াতে হবে।
কালনার চাষি ফিরোজ শেখ বলেন, ‘‘তীব্র গরমের কারণে আনাজের উৎপাদন ভাল হয়নি। ঝড়ে সব তছনছ হলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’’ পূর্বস্থলী ২ ব্লকের আমচাষি সুজয় ঘোষ বলেন, ‘‘প্রায় ৯০ শতাংশ গাছে এ বার আম ফলেনি। অল্প যা আম ফলেছে তার কিছুটা রাখা হয়েছে জামাইষষ্ঠীর বাজার ধরার জন্য। সেটাও নষ্ট হলে ক্ষতির অঙ্ক বাড়বে।’’
বৃষ্টির অভাবে এ বার এখনও আমনের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করতে পারেননি চাষিরা। বৃষ্টি হলে তা শুরু হবে। ভারী বৃষ্টি হলে পুকুর, নালার মতো ছোট জলাশয়গুলিতে জল মিলবে। তাতে জুলাই মাসে পাট পচানোর জল পেতে অসুবিধা হবে না।
রেমাল নিয়ে খেয়াঘাটগুলিকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে প্রশাসন। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় লঞ্চ, নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে তোলা যাবে না।
কালনা খেয়াঘাটের তরফে জয়গোপাল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভারী দুর্যোগ হলে প্রয়োজনে পারাপার বন্ধ রাখা হবে।’’ কালনা পুরসভার উপ-পুরপ্রধান তপন পোড়েল জানিয়েছেন, পুরসভার তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। টোল ফ্রি নম্বর জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় পুরসভা দল গঠন করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy