বিজেপি বিধায়ক ‘নিখোঁজ’— শনিবার সকালে এমনই দাবিতে দেওয়া পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরের নইমনগরে। স্থানীয় একটি ক্লাবের তরফে এই পোস্টার দেওয়া হয়। বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও, তৃণমূল তা মানতে চায়নি। পাল্টা, বিজেপি নেতৃত্ব সাম্প্রতিক সময়ে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা দলের আসানসোল জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের নানা কর্মকাণ্ডের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
এ দিন সকালে ওই ক্লাবের সদস্যেরা নইমনগর, কোর্ট মোড়, বস্তি এলাকায় দেওয়ালে-দেওয়ালে পোস্টার সাঁটাতে থাকেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। পোস্টারে লেখা, ‘করোনা কালে, ঘূর্ণিঝড়ে বিজেপি এমএলএ লক্ষ্মণ ঘোড়ুই নিখোঁজ, নিখোঁজ, নিখোঁজ।’ কেন এমন কাজ? ক্লাবের তরফে মহম্মদ আক্রম খান বলেন, ‘‘করোনা কালে আমাদের প্রকৃত জন-প্রতিনিধিকে দরকার। করোনা-পরীক্ষা হচ্ছে না। করোনার টিকা ঠিক মতো মিলছে না। ইয়াসের জন্য দুঃস্থ মানুষের ত্রাণের দরকার। আমরা বিধায়ককে খুঁজে পাচ্ছি না। তাই তাঁর খোঁজে পোস্টার দিয়েছি।’’
বিধায়কের অবশ্য দাবি, ‘‘এ সব তৃণমূলের নোংরামি। যাঁরা পোস্টার সাঁটিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতী। দুর্গাপুরের মানুষ জানেন, আমি তাঁদের পাশে আছি।’’ তবে দুর্গাপুর ২ নম্বর যুব তৃণমূলের সভাপতি রাজু সিংহ এই ঘটনার সঙ্গে দলের যোগ মানতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘এর মধ্যে রাজনীতির কিছু নেই। এলাকার ছেলেরা পোস্টার সাঁটিয়েছেন। দুর্গাপুরের মানুষ ভোট দিয়ে বিধায়ককে নির্বাচিত করেছেন। তাঁকে দরকার। অথচ, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একটা সই দরকার হলেও মিলছে না।’’ ঘটনায় কি সমর্থন রয়েছে আপনাদের? রাজু সিংহ বলেন, ‘‘না। এটা একেবারেই এলাকার মানুষের বিষয়।’’
পাশাপাশি, বিজেপি নেতৃত্ব এবং লক্ষ্মণবাবু করোনা-কালে তাঁর কাজকর্মের কথাও জানিয়েছেন সবিস্তারে। লক্ষ্মণবাবু জানান, বেশ কিছু দিন ধরে তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকায় করোনা-আক্রান্তদের বাড়ি-বাড়ি দু’বেলা বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। এ ছাড়া, অক্সিজেন পার্লার তৈরি করতে চেয়ে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ইদের সময়ে বস্ত্র বিতরণ, মায়াবাজারে একটি স্থানীয় সমস্যার সমাধান করা-সহ বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যেই বিধায়ক ছিলেন বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। পাশাপাশি, লক্ষ্মণবাবু বলেন, ‘‘করোনায় মৃতের দেহ দাহ করতে হাজার-হাজার টাকা চাওয়ার প্রতিবাদ করেছি বীরভানপুর শ্মশানে গিয়ে।’’