শংসাপত্র জাল করার অভিযোগ উঠল পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। এই পঞ্চায়েতের হাটসিমলা গ্রামের এক দল বাসিন্দা এ ব্যাপারে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং পূর্বস্থলী ১ বিডিও-র কাছে।
এই পঞ্চায়েতে রয়েছে ৩০টি আসন। এ বার পঞ্চায়েতের প্রধান পদটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়। ভোটে ২২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল। দাদপুর-কামদেবপুর এলাকা থেকে জয়ী সীমা মণ্ডল প্রধান হন। সীমাদেবীর শংসাপত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ।
হাটসিমলার কিছু বাসিন্দার অভিযোগ, প্রধান আগে এই এলাকায় বাস করতেন না। কয়েক বছর আগে তিনি অসম থেকে হাটসিমলায় আসেন। এখানে আসার পরেই তিনি তফসিলি জাতির শংসাপত্র তৈরি করেন। প্রধানের শংসাপত্রে বাবার নাম লেখা রয়েছে গৌরচন্দ্র মণ্ডল। কিন্তু ওই বাসিন্দাদে অভিযোগ, সীমাদেবীর বাবার নাম আসলে বলরাম মণ্ডল। অসৎ উপায়ে প্রধান তফসিলি জাতির শংসাপত্র তৈরি করেছেন বলে দাবি বাসিন্দাদের। মহকুমা প্রশাসনের দেওয়া ওই শংসাপত্রটি বাতিল করা এবং প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। নামপ্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগকারীদের কয়েক জন দাবি করেন, অভিযোগের পক্ষে তাঁরা বেশ কিছু নথিও তুলে ধরেছেন। শংসাপত্রে প্রধান যাঁকে বাবা বলে দাবি করেছেন, আসলে তিনি তাঁর এক অন্য আত্মীয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পঞ্চায়েত প্রধান সীমাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য শংসাপত্র নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দল আমাকে প্রধান করেছে। যা বলার দলই বলবে।’’ পূর্বস্থলী ১ ব্লক তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, ‘‘এ রকম ঘটনার কথা আমার জানা নেই। দলের কাছেও কেউ কোনও অভিযোগ জানাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’
মহকুমাশাসক (কালনা) নীতিশ ঢালি জানান, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy