প্রতীকী ছবি।
বিজেপির এক বুথ সভাপতিকে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর ও কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও আউশগ্রামের অভিরামপুরের ওই বিজেপি নেতা পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। তৃণমূলও অভিযোগ মানেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের এড়াল পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা ওই নেতা বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতি। অভিরামপুর ক্যানাল পাড়ের কাছে তাঁর একটি সেলুন রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে, তৃণমূলের লোকজন সে সেলুনে ভাঙচুর, লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ। সে সময়ে বিষয়টি জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউল ট্রাইব-সহ নানা জায়গায় অভিযোগ করেন তিনি। ওই বিজেপি নেতার দাবি, ‘‘মঙ্গলবার পুলিশ আমায় সেলুন খুলে মেরামতের জন্য বলে। সেইমতো দোকানের ছাউনির জন্য স্থানীয় বাজারে অ্যাসবেস্টস কিনতে গিয়েছিলাম। তখনই কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আমাকে জোর করে ওদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। কান ধরে ওঠবস করায়। প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। পরে, ছেড়ে দেওয়া হয়।’’ শেষ পর্যন্ত পুলিশের সাহায্যে ফের দোকান মেরামত করেন তিনি।
তৃণমূলের এড়াল অঞ্চল সভাপতি বঙ্কুবিহারী সেনাপতির দাবি, পুরোটাই ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে ওই ব্যক্তি তাঁর সেলুন খুলবেন।’’ তবে বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভার আহ্বায়ক দেবব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘‘নানা ভাবে কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। কান ধরে ওঠবস করানোটা অত্যন্ত অনৈতিক কাজ হয়েছে। কর্মীরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ওঠবস করানোর কোনও অভিযোগ হয়নি। ওই ব্যক্তির দোকান খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy