Advertisement
E-Paper

ছেলেরা দেখে না, রাস্তায় বৃদ্ধাকে দেখে সরব পড়শিরা

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিরিশ বছর আগে বিধবা হন বর্ধমান শহরের জগতবেড় এলাকার দাসপাড়ার ওই বৃদ্ধা মালতী দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আগেও মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল দুই ছেলের বিরুদ্ধে। এ বার মাকে দেখার পালি শেষ হতে নববর্ষের দিনই তাঁকে রাস্তায় বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বড় ছেলে ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। দিনভর কাঠফাটা রোদে বাড়ির বাইরে বসেছিলেন প্রায় সত্তর বছরের ওই বৃদ্ধা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করায় সন্ধ্যায় তাকে ঘরে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। মাকে না দেখার অভিযোগও মানেননি তাঁরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিরিশ বছর আগে বিধবা হন বর্ধমান শহরের জগতবেড় এলাকার দাসপাড়ার ওই বৃদ্ধা মালতী দাস। তারপর থেকে দুই ছেলে দিলীপ ও সুধীরের কাছে থাকেন তিনি। এক বাড়িতেই আলাদা আলাদা অংশে থাকেন দুই ভাই। দু’জনেই আনাজের ব্যবসা করেন। পড়শিদের দাবি, বরাবরই মায়ের দায়িত্ব কে নেবে, সে নিয়ে দুই ছেলে-বৌমাদের মধ্যে অশান্তি চলত। সম্প্রতি আলাপ-আলোচনায় ঠিক হয়, দু’জনেই চার মাস করে মালতীদেবীর দায়িত্ব নেবেন। এ দিন বড় থেলে দিলীপের মাকে দেখার পালি শেষ হয়। স্থানীয় বাসিন্দা পায়েল দাস, শিউলি দাসদের অভিযোগ, সকালেই বড় ছেলের পরিবার ওই বৃদ্ধাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায়। সারা দিন নর্দমার পাশেই বসেছিলেন তিনি। তাঁকে খাবার, জলও দেওয়া হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। এ দিকে, ছোট ছেলে বা তাঁর পরিবারের কেউ এসেও ঘরে নিয়ে যাননি ওই বৃদ্ধাকে। পরে সন্ধ্যায় দুই পরিবারের উপরেই ক্ষোভ উগড়ে দেন এলাকার লোকজন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মালতীদেবীকে ঘরে নিয়ে যান বড় বৌমা অর্পণা।

এলাকার লোকজনের অভিযোগ, বয়সের ভারে অনেকসময় অসংলগ্ন আচরণ করতেন ওই মহিলা। তা নিয়ে জুটত মারধর। বছরখানেক আগে বর্ধমান থানায় ছেলেদের বিরুদ্ধে মাকে মারার অভিযোগও হয়। এ দিন অবশ্য বৃদ্ধার দুই নাতি সোমনাথ ও সুপ্রিয় দাবি করেন, ভুল বোঝাবুঝির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। ঠাকুমাকে তাঁরাই দেখবেন বলেও দাবি করেন। পড়শি মহিলাদের যদিও দাবি, তাঁরা সরব না হলে ওই বৃদ্ধাকে রাস্তাতেই পড়ে থাকতে হত। আবার এমন হলে পুলিশের কাছে যাবেন বলে দাবি তাঁদের।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Old man Bardhaman বর্ধমান
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy