E-Paper

সন্তানদের কাছে আশ্রয়ের আর্জি নিয়ে বৃদ্ধার ধর্না কালনায়

ভবানীরানির এক ছেলে, দুই মেয়ে। ছেলে বিয়ে করে নিজের ভিটেতে থাকেন। দুই মেয়েরও বিয়ে হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৩৫
বৃদ্ধার কাছে মহকুমাশাসক।

বৃদ্ধার কাছে মহকুমাশাসক। নিজস্ব চিত্র।

বয়স আশি ছুঁই ছুঁই। সন্তানেরা তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে বিচারের দাবিতে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসলেন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সমুদ্রগড় নতুনপাড়ার বাসিন্দা ভবানীরানি চৌধুরী। খবর পেয়ে কার্যালয় থেকে দ্রুত নেমে আসেন মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল। বৃদ্ধাকে তাঁর বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তিনি।

ভবানীরানির এক ছেলে, দুই মেয়ে। ছেলে বিয়ে করে নিজের ভিটেতে থাকেন। দুই মেয়েরও বিয়ে হয়েছে। কয়েক বছর আগে স্বামী মারা যান। তার পর থেকেই কষ্টের দিন শুরু হয় ভাবানীরানির। তিনি জানান, বাপের বাড়ি থেকে কিছু সম্পত্তি ভাগে পেয়েছিলেন। সে সব বিক্রির টাকা ছেলেমেয়েরা তাঁর অজান্তেই নিয়ে নেন। এখন টাকা না দিলে তাঁরা মাকে বাড়িতে থাকতে দেবেন না বলেছেন। মাস তিনেক হল কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

এ দিন বৃদ্ধার সঙ্গে একটি পুটুলি ও প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। সেখানে ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে থাকার জায়গা ও খাবার চেয়ে, বিচারের দাবি করেছেন তিনি। বৃদ্ধা বলেন, “যাদের পেটে ধরেছি, তাদের কাছে একটু আশ্রয় আর খাবার চেয়েছি। গঞ্জনা আর জামাইয়ের মার মিলছে। ছেলেমেয়ের কাছ থেকে থাকার জায়গা, খাবার পাব না কেন! তাই বিচারের জন্য মহকুমাশাসকের কাছে এসেছি।”

বৃদ্ধা আরও জানান, ৭ জানুয়ারি ছেলেমেয়েদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মহকুমাশাসকের কাছে
তিনি একটি চিঠি দিয়ে গিয়েছিলেন। এখনও কোনও সাড়া না মেলায় শনিবার তিনি ফের কার্যালয়ের সামনে হাজির হন। জরুরি কাজে মহকুমাশাসক কার্যালয়েই ছিলেন। খবর পেয়ে নীচে এসে তিনি বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর জন্য বরাদ্দ করেন কিছু নগদ অর্থ আর চাল। তার পরে গাড়ি করে তাঁকে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিডিওর কার্যালয়ে
পাঠানো হয়।

মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল বলেন, “ব্লক কার্যালয় থেকে পুলিশ বৃদ্ধাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে। ঘটনাটি নিয়ে একটি মামলাও করা হয়েছে। মাঝে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ তাঁকে ছেলের বাড়ি দিয়ে এসেছিল। তার পরেও তাঁকে ফের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আশা করছি এ বার আর তা
হবে না।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalna

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy