Advertisement
E-Paper

স্ত্রীর ছবি নিয়ে যোগাদ্যায় পুজো দিলেন কেষ্ট, বছরের শেষ দিন মঙ্গলকোটে পা দিয়ে ‘বিশেষ ঘোষণা’

বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম এবং কেতুগ্রাম বিধানসভা এলাকা। এই তিন বিধানসভা এলাকারই দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলে এসেছেন অনুব্রত মণ্ডল।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:২০
Anubrata Mondal

কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে পুজো দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।

দু’বছর পর মঙ্গলকোটের মাটিতে পা রাখলেন অনুব্রত মণ্ডল। পা রেখেই জানালেন, আগের মতো মঙ্গলকোট-সহ তিন বিধানসভার সংগঠনের দেখভাল তিনিই করবেন। মঙ্গলবার ইংরেজি বছরের শেষ দিনে কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে যোগাদ্যা সতীপীঠে পুজো দিয়েছেন কেষ্ট। তাঁর হাতে ছিল মৃত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের ছবি। ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালে মারা যান তিনি। যোগাদ্যা সতীপীঠের দেবীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে কেষ্ট বলেন, ‘‘দীর্ঘ দু’বছর পর মঙ্গলকোটের মাটিতে পা দিয়ে খুবই ভাল লাগছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মঙ্গলকোটের মাটি শক্ত মাটি। আমি আগের মতোই পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট,কেতুগ্রাম ও আউশগ্রাম বিধানসভার তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্বে আছি।’’

বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম এবং কেতুগ্রাম বিধানসভা এলাকা। এই তিন বিধানসভা এলাকারই দলীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলে এসেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত। কিন্তু গরু পাচার মামলায় তিনি জেলে যাওয়ার পর মঙ্গলকোট ও আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকার সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখাশোনার দায়িত্ব পান পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দু’বছর পরে গত অগস্টে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে অনুব্রতকে এত দিন আউশগ্রাম,কেতুগ্রাম বা মঙ্গলকোট এলাকায় দেখা যায়নি। বছরের শেষ দিনে মঙ্গলকোটে এসে কেষ্ট জানালেন, আগের মতো তিনিই দেখবেন তিন বিধানসভার সংগঠন। যোগাদ্যা মন্দিরে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে পুজো দেওয়ার পর হাসিখুশি মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। আশ্বাসের সুরে নেতা এবং কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘কোনও চিন্তা কোরো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে আছেন। তোমরাও নেত্রীর পাশে এ ভাবেই থেকো।’’

কেষ্টর সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি রামকেশব ভট্টাচার্য, ক্ষীরগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মাসুদুর রহমানেরা।

অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করতে কাটোয়া থেকে ক্ষীরগ্রামে আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সম্পাদক অরিন্দম মুখোপাধ্যায়-সহ দলীয় কর্মীরা। অপূর্ব বলেন, ‘‘কেষ্টদা তিহাড় জেলে যখন ছিলেন, তখনও আমাকে যোগাদ্যা মায়ের পুজো দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কেষ্টদা জামিন পেয়েছেন। আমার অনুরোধে আজ (মঙ্গলবার) মায়ের মন্দিরে প্রতিষ্ঠা দিবসে পুজো দিতে এসেছেন। সকলের মঙ্গলকামনায় পুজো দিয়েছেন তিনি। বস্তুত, সতীর ৫১ পীঠস্থানের মধ্যে অন্যতম মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম। কথিত আছে, এখানে সতীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল পতিত হয়েছিল। ক্ষীরগ্রামের ক্ষীরদিঘি নামে পুকুরের জলের তলায় যোগাদ্যার প্রস্তরমূর্তি বছরভর রেখে দেওয়া হয়। বছরে সাত বার দেবীকে জল থেকে তুলে পুজো করা হয়। বছরের যে নির্দিষ্ট সাত দিন মূর্তি তুলে পুজো করা হয়, তার মধ্যে ১৫ পৌষ অন্যতম। মঙ্গলবার ছিল সেই বিশেষ দিন। এলাকার মানুষ এই দিনটি ‘লগন পুজো’ বলেন। মঙ্গলকোটের বিধায়কের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকল ভক্তের জন্য ভোগের আয়োজন করা হয়েছিল। মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ভক্ত এবং পুণ্যার্থীকে ভোগ দেওয়া হয়েছে।

Anubrata Mondal TMC Purba Bardhaman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy