নিজেদের ভাঁড়ারে সবে মাত্র ঢুকেছে সরকারি প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র টাকা। সে টাকা দিয়েই শুক্রবার রাতে দুঃস্থদের খাওয়ালেন গুসকরা শিরিষতলার বাসিন্দা ববিতা রায়, মিতা শর্মা, শিউলি গড়াই, অঞ্জু শর্মা, মৌসুমী সাও-রা।
বছর খানেক ধরে প্রায় প্রতি শুক্রবার স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যেরা এলাকার দুঃস্থ বাসিন্দাদের খাওয়ানোর আয়োজন করে আসছেন। ওই ক্লাবের সম্পাদক সওগত মল্লিক বলেন, ‘‘এলাকার বিভিন্ন মানুষ প্রিয়জনের জন্মদিন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান-সহ নানা উপলক্ষ্যে আমাদের ক্লাবের মাধ্যমে দুঃস্থদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। গুসকরা স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভবঘুরে, ভিক্ষুকদের খাওয়ানো হয়। কিন্তু এ বার সে ভাবে কেউ এগিয়ে না আসায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম আমরা। ক্লাবের সদস্য এবং এলাকার বাসিন্দা ১২ জন মহিলা তখন তাঁদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা থেকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন।’’ গুসকরা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরসভার উদ্যোগে প্রতিদিন দুপুরে ‘মা ক্যান্টিন’ চালানো হচ্ছে। রাতে ওই সমস্ত দুঃস্থ মানুষেদের অনেকেই খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। শিরিষতলা এলাকার মহিলারা নিজেদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দিয়ে দুঃস্থদের খাইয়ে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।’’
ববিতা রায়, রিঙ্কু সাও, রঞ্জু শর্মারা বলেন, ‘‘এত দিন পাড়ার ক্লাবের প্রতি শুক্রবার দুঃস্থ মানুষদের খাবার দেওয়ার আয়োজনে আমরা শুধুমাত্র রান্নার কাজে সাহায্য করতাম। আর্থিক ভাবে সাহায্য করার সামর্থ্য আমাদের ছিল না। কিন্তু যখন শুনলাম, এ বার টাকার অভাবে খাবার দেওয়া যাচ্ছে না, তখন নিজেরা স্বেচ্ছায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুদান তুলে দিলাম। ভাল কাজে সাহায্য করতে পেরে ভাল লাগছে। ওই টাকা দিয়ে শাড়ি, গয়না কিনলে হয়তো এতটা আনন্দ পেতাম না। মাঝে মধ্যেই ওই কাজে আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।’’