রাস্তা তৈরি নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত আসানসোল পুরসভার সঙ্গে বিবাদে জড়ালেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
আসানসোলে কংক্রিটের রাস্তা তৈরির জন্য বাবুল নিজের সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকায় তৈরি কয়েকটি রাস্তার উদ্বোধন করতে বেরিয়ে শনিবার বাবুল দেখেন, তাঁর কৃতিত্বে আসানসোল পুরসভা ভাগ বসানোর চেষ্টা করেছে। নতুন রাস্তায় তাঁর নামের ফলকের আশপাশে নিজেদের হোর্ডিং লাগিয়ে দিয়েছে পুরসভা। সেখানে কোথাও তাঁর নামের উল্লেখও নেই। এই কাণ্ড দেখে অসন্তুষ্ট হন বাবুল। তাঁর সঙ্গীরা পুরসভার হোর্ডিং উপড়ে ফেলেন। পরে বাবুল ট্যুইটে লেখেন, ‘‘এই ধরনের নোংরামো করা উচিত নয়। এটা প্রতারণা। বোর্ডে সত্য জানানো উচিত। মিথ্যে নয়!’’
বাবুলের বক্তব্য, রাজনীতি এবং সাংসদ হিসাবে এলাকা উন্নয়নের কাজ তিনি কখনও গুলিয়ে ফেলেন না। রাজনৈতিক বিরোধিতা রাজনীতির পরিসরে চলে। কিন্তু সাংসদ এবং মন্ত্রী হিসেবে তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলেরই উন্নয়ন করে থাকেন। তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় আসানসোলে যে সব কাজ হচ্ছে, সেগুলি দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে সম্প্রতি আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে তাঁর বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তারও আগে পুরসভার তরফে ওই হোর্ডিংগুলি লাগানো হয়েছে। যার মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব একেবারেই নেই। বাবুলের কথায়, ‘‘আমার সাংসদ তহবিলের টাকায় রাস্তা হয়েছে। অথচ, পুরসভা হোর্ডিং লাগিয়েছে। কোথাও কোথাও অন্য নেতাদের নাম ফলকে লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি এটা মানব না।’’
মেয়র জিতেন্দ্রবাবুর অবশ্য সাংসদের দাবি মানতে নারাজ। তিনি পাল্টা বলেন, ‘‘পুরসভা বোর্ড দিয়ে কোনও ভুল করেনি। কারণ, বাস্তবে আমরাই কাজটা করি। ওই বোর্ডে তো লেখা ছিল, সাংসদ কোটার টাকায় রাস্তা তৈরি হয়েছে। সেই রাস্তার খরচ, দৈর্ঘ্য-প্রস্থ সব কিছুরই উল্লেখ করা ছিল।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘সাংসদ যদি আসানসোলকে সত্যিই ভালবাসতেন, তবে এমন আচরণ করতেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy