কাউন্সিলর বাদশা। —ফাইল চিত্র।
স্কুলের জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে আগাম জামিন নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের এক বধূকে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় নাম জড়াল বর্ধমান পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ বসির আহমেদ ওরফে বাদশার।
পুলিশ জানায়, শহরের সিএমএস স্কুলের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরির খবর পেয়ে তিন জন রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মিস্ত্রিদের ছাড়ানোর জন্য স্থানীয়রা পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই কাউন্সিলরের নাম উঠে আসে। তারপরে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। ওই ঘটনাতেই শুক্রবার আদালত থেকে আগাম জামিন পান বাদশা।
জামিন পাওয়ার খানিক বাদে, শুক্রবার বিকেলেই ফের গোলমালের ঘটনায় নাম জড়ায় বাদশার। কী রকম? পুলিশ জানায়, পুরসভার রাস্তার কলে পানীয় জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাবুরবাগের দু’টি পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গোলমাল রয়েছে। জামিন পেয়ে এলাকাই এসেই বাদশা একটি পরিবারের তরফে কথা বলতে গেলে বচসা বাধে বলে খবর। বিবাদমান একটি পরিবারের সদস্য অভিযোগ করেন, ‘‘আমার স্ত্রী’কে ওই কাউন্সিলরের নেতৃত্বে পাঁচ জন মিলে মারধর করে। কাউন্সিলর স্ত্রী’র শ্লীলতাহানি করে। স্ত্রী’কে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’’ অভিযোগ পেয়ে দু’জন মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের শনিবার আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
শনিবার অভিযুক্ত কাউন্সিলর যদিও দাবি করেন, ‘‘অবাক কাণ্ড! আমিই ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। আর আমার নামেই ব্যক্তিগত স্বার্থে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে শুনেছি।’’ প্রসঙ্গত এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এর আগে বর্ধমানের রাজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে। সেই সময়ে দলের বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস ওই কাউন্সিলরকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। পরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের দলে ঢোকেন তিনি।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “কাউন্সিলরের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy