বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে এলেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে এসে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। সুপারের ঘরে দীর্ঘ বৈঠকও হয়। মূলত আরজিকর কাণ্ডের পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ‘রাতের সাথী’ বলে যে প্রকল্প নিয়েছে, তার প্রয়োগ খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন আইপিএস পিনাকীরঞ্জন দাস। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজেরই নিরাপত্তা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। সেই সূত্রেই বর্ধমানে আসা। মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি ব্যবস্থা, সিসিটিভিতে নজরদারি, চিকিৎসকদের বিশ্রাম কক্ষ, শৌচাগার-সহ একাধিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদেরও এই বিষয়গুলি নিয়েই ক্ষোভ ছিল।
এ দিন দলটি হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প, জরুরি বিভাগ, জি+৭ ভবন, বক্ষ বিভাগ, ফার্মেসি-সহ একাধিক জায়গা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের সঙ্গেও। সঙ্গে ছিলেন হাসপাতাল সুপার তাপস ঘোষ। তার পরে বৈঠক হয়। প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে হাসপাতালে এসেছিলেন রাজ্য নিরাপত্তা কমিটির প্রধান সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ। তাঁরাও হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। এ দিনের পরিদর্শন নিয়ে সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। পরিদর্শন এবং বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় নজরে এসেছে, সেগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)