প্রশ্নপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা নথি ছাপিয়ে ধার ৪৫ লক্ষ টাকা!
রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরে চিঠি দিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে বকেয়া না মেটানোর অভিযোগ করেছেন শৌনক ঘটক নামে এক ব্যাক্তি। তাঁর দাবি, কলকাতার এপিসি রোডে (১১ নম্বর ওয়ার্ড) সংস্থার দফতর থেকে গত তিন বছরে বহু প্রশ্নপত্র ও নথি ছাপিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কোনও টাকা মেটানো হয়নি। এতে সংস্থা চালাতে অসুবিধে হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহার দাবি, “তিন বছরের বকেয়া টাকা সরকারের অনুমোদন ছাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। কর্মসমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারের অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে।”
তবে তিন বছরের বকেয়া কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে দেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রান্ত বিভাগের দাবি, এই বিল দিতে গেলে আর্থিক-শৃঙ্খলার ভাঙার দায়ে পড়বে কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, অস্থায়ী উপাচার্য থাকার সময়ে নিমাইবাবুর দফতরে বকেয়া ৪৫ লক্ষ টাকা চেয়ে বেশ কয়েকবার চিঠি দেন শৌনকবাবু। কিন্তু খোঁজাখুঁজির পরেও উপাচার্যের দফতরে কোনও ‘নথি’ মেলেনি। পরে পরীক্ষা নিয়ামক দফতর থেকে ওই নথি উদ্ধার করেন নিমাইবাবু। দেখা যায়, শৌনকবাবুর দাবি সঠিক। বকেয়া বিল কী ভাবে মেটানো যাবে, তা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। পরে সহ-উপাচার্য ষোড়শীমোহন দাঁকে রেখে ফের কমিটি গঠন করা হয়।
সম্প্রতি শৌনকবাবু রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিল আটকে থাকায় কর্মীদের বেতন আটকে রয়েছে। সরবরাহকারী সংস্থার কাছে ধার হয়ে গিয়েছে। শ্রম দফতর যে কোনও সময় তাঁর সংস্থাকে আইনি সমস্যায় ফেলতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। তাঁর দাবি, ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত এবং ২০১৫ সালের ২৬ মে বিশেষ ভাবে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মোট ৬৭টি বিলের জন্য তাঁর পাওনা ৪৫ লক্ষ টাকা। শৌনকবাবুর কথায়, “আমি সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। তাঁরাই বিষয়টি দেখছেন।” ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের তরফেও বিষয়টি জানতে চেয়ে উপাচার্যকে ফোন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy