উদ্ধার দু’টি বোমা। নিজস্ব চিত্র
মনোনয়নের প্রক্রিয়া চলাকালীন মহকুমাশাসকের অফিসের অদূরে বোমা উদ্ধার হল দুর্গাপুরে। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ এই ঘটনার পরে চাপান-উতোর তৈরি হয় এলাকায়। পুলিশ একটি ব্যাগ থেকে দু’টি বোমা উদ্ধার করে।
এ দিন সকাল মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে কড়া পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা ছিল। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। কিন্তু এরই মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ, গলায়-মুখে তোয়ালে ও গামছা জড়ানো কিছু যুবক আচমকা ব্যারিকেড টপকে ঢুকে পড়ে। তাদেরই এক জন একটি অস্থায়ী ঝুপড়ির মাঝে একটি নাইলনের থলি রেখে দেয়। তা দেখে লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে ওই যুবকেরা একটি হোটেলে ঢুকে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই থলিটি থেকে দু’টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরেই মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা অফিস থেকে বেরিয়ে পুলিশকে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। পুলিশ আশপাশের চায়ের দোকান, হোটেল, ফলের দোকান থেকে সব লোকজনকে সরিয়ে দেয়।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি বহিরাগতদের নিয়ে এসে অশান্তি বাধানোর চেষ্টায় ছিল। কিন্তু বোমা রাখতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে ওই যুবকেরা চম্পট দেয়। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল কর্মীরা। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়ন জমার কাজ যাতে না হয়, সে জন্যই এ ভাবে বাইরে থেকে লোক এনে অশান্তি তৈরির ছক কষেছিল বিজেপি।’’
বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘অশান্তি কারা ছড়ায় তা শনিবারই দেখা গিয়েছে। আমি আক্রান্ত হয়েছি সে দিন। তৃণমূলের চাপে পুলিশ আমাদের অভিযোগ নেয়নি। আজও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৈরি হয়ে এসেছিল। তবে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়।’’ তবে তার পরেও নানা ভাবে তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে তাঁর অভিযোগ।
এ দিনই মহকুমাশাসকের অফিস থেকে কিলোমিটার খানেক দূরে সৃজনী প্রেক্ষাগৃহের পাশে রাখা দু’টি গাড়িতে বোমা রয়েছে বলে রটে যায়। পুলিশ গাড়ি দু’টি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে। তবে তার আগেই চালকেরা আসেন। তবে গাড়িগুলিতে কিছু মেলেনি বলে জানায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy