Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের প্রধান কংগ্রেসের প্রার্থী

বিদায়ী প্রধান প্রিয়ঙ্কা মণ্ডল ও ওই সদস্য চন্দ্রভানু দত্ত দাবি করেন, দলের একাংশের ষড়যন্ত্রে তৃণমূলের টিকিট পাননি তাঁরা। তাই কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩৪

বোর্ড গঠনের পর থেকে গত পাঁচ বছরে বারবারই শাসক গোষ্ঠীর কোন্দলে তপ্ত হয়ে উঠেছে পঞ্চায়েত। অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতির। সে সবের জেরে এ বার অন্ডালের রামপ্রসাদপুর পঞ্চায়েতে বিদায়ী প্রধান-সহ বেশ কয়েকজন সদস্যকে আর টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তার পরেই ওই প্রধান ও পঞ্চায়েতের তিন বারের এক সদস্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কংগ্রেসের তরফে।

বিদায়ী প্রধান প্রিয়ঙ্কা মণ্ডল ও ওই সদস্য চন্দ্রভানু দত্ত দাবি করেন, দলের একাংশের ষড়যন্ত্রে তৃণমূলের টিকিট পাননি তাঁরা। তাই কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অলোক মণ্ডল বলেন, ‘‘ওঁদের নামে অভিযোগ জমা পড়েছিল। বারবার ব্লক অফিসে ডাকা হলেও আসেননি। দেড় বছর দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্তদের টিকিট দিলে আমাদের কিছু বলার নেই।’’ যদিও কংগ্রেসের ওই এলাকার নেতা ফৈয়াজ আহমেদ বলেন, ‘‘ওঁদের পঞ্চায়েত চালানোর অভিজ্ঞতা আছে। তৃণমূল ওঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। ওঁরা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় আমরা টিকিট দিয়েছি।’’

২০০৮ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েত ছিল বামেদের দখলে। সে বার কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে তৃণমূল এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে। প্রধান হন চন্দ্রভানুবাবু। ২০১৩ সালে ১৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১০টিতে জিতে ক্ষমতায় আসার পরে প্রিয়ঙ্কাদেবী প্রধান হন। তবে কিছু দিন পরে তাঁর ও আর এক সদস্য পূর্ণিমা সিংহের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন চন্দ্রভানুবাবু-সহ তৃণমূলের সাত পঞ্চায়েত সদস্য। তবে তখন দলীয় নেতৃত্ব কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। কিন্তু গত বছর প্রিয়ঙ্কাদেবীকে প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয় বলে তৃণমূল সূত্রে জানা যায়। ব্লক অফিসে একটি ইস্তফাপত্র জমাও পড়ে। যদিও প্রিয়ঙ্কাদেবী ব্লক অফিসে গিয়ে দাবি করেন, কেউ তাঁর সই নকল করে ওই ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছে।

গোটা বিষয়টির পিছনে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালোবরণ মণ্ডলের হাত রয়েছে বলে প্রিয়ঙ্কাদেবী ও চন্দ্রভানুবাবুর অভিযোগ। চন্দ্রভানুবাবুর কথায়, “আমরা সাত জন সদস্য বিরোধিতা করায় দল প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে একতরফা কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। সে কারণে আমাদের আট জনকে এ বার টিকিট দেওয়া হয়নি। প্রিয়ঙ্কা ও আমি কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছি।”

কালোবরণবাবু শুধু বলেন, ‘‘দলকে দুর্নীতিগ্রস্তদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তা দেখেই দলীয় নেতৃত্ব টিকিট দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ কংগ্রেস নেতা ফৈয়াজ আহমেদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তো প্রমাণই হয়নি।’’

West Bengal Panchayat Elections 2018 Nominations Congress TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy