Advertisement
E-Paper

দুই ব্লকে সাত জয়ই সাফল্য

৬০-এ সাত। আর এই সাতে ভর করেই এই দুই ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের সাফল্য দাবি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, ভোট-প্রচার ঠিক মতো হয়নি বলেই বিজেপি-র এই ‘সাফল্য’।

সুশান্ত বণিক

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৮ ০১:৩৯

৬০-এ সাত। আর এই সাতে ভর করেই এই দুই ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের সাফল্য দাবি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, ভোট-প্রচার ঠিক মতো হয়নি বলেই বিজেপি-র এই ‘সাফল্য’।

ব্লক, সালানপুর ও বারাবনি। এই দুই ব্লকে ১৯টি পঞ্চায়েতের ৬০টি সংসদে ভোট হয়। তার মধ্যেই সাতটিতে জিতেছে বিজেপি। এর মধ্যে বারাবনি নুনি ও পুঁচরায় যথাক্রমে দু’টি ও একটি এবং সালানপুরের এথোড়া ও ফুলেবড়িয়া-বোলকুণ্ডায় দু’টি করে আসন পেয়েছে বিজেপি।

২০১৩-য় সালানপুরের দু’টি পঞ্চায়েতেই বিরোধীরা জিতেছিল। এ বার এথোড়ার পাঁচটি সংসদের তিনটিতে ও অন্য পঞ্চায়েতটির ভোট হওয়া চারটি সংসদের দু’টিতে তৃণমূল জিতেছে। কিন্তু শাসক দলের এই জয়ে পদ্মকাঁটা ফোটানো গিয়েছে বলেই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। বারাবনির ওই দুই পঞ্চায়েতের মোট ২২টি সংসদের মধ্যে সাতটিতে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছে তিনটিতে।

কিন্তু কী ভাবে এই দুই ব্লকে জয়? বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের দিনেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘রাজ্যের সীমানায় ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ারের মতো এলাকায় বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে লোক ঢুকেছে।’’ যদিও বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন, তাই বিজেপি জিতেছে। এটা আমাদের সাফল্য। সন্ত্রাস না হলে অন্য এলাকাতেও জিততাম।’’ এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, এই দুই ব্লকে লাগামছাড়া সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। সেই সন্ত্রাস যেখানে প্রতিরোধ করা গিয়েছে, সেখানেই ভাল ফল হয়েছে।

বিজেপি-র দাবি, ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই এই দুই ব্লকেই তাঁরা ভাল ফল করতে শুরু করে। দুই ব্লক নিয়ে গঠিত বারাবনি বিধানসভা এলাকায় সে বার বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেনের চেয়ে প্রায় দু’হাজার বেশি ভোট পেয়েছিলেন। গত বিধানসভা ভোটেও তৃণমূল বারাবনিতে জিতলেও টক্কর দেয় বিজেপি।

এ বার ফলপ্রকাশের পরে দেখা গিয়েছে, এই দুই ব্লকে মাত্র দু’টি সংসদ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সিপিএমকে। কেন এমনটা? বিষয়টি নিয়ে সিপিএম নেতা নুরুল ইসলামের পর্যবেক্ষণ, ‘‘বিজেপি এখানে সংগঠন বাড়িয়েছে। তার ফলও পেয়েছে তারা।’’ সেই সঙ্গে দুই ব্লকে সিপিএমের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথাও স্বীকার করেছেন ওই নেতা।

যদিও বিজেপি-র এই সাত আসনে জয়কে সাফল্য বলে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনের কথায়, ‘‘বাবুল সুপ্রিয়ের দত্তক নেওয়া গ্রামেই বিজেপি হেরেছে। কিছু এলাকায় উন্নয়নের প্রচার ঠিক মতো হয়নি বলেই সাময়িক ফল খারাপ হয়েছে।’’ এর কারণ খুঁজতে শুক্রবার জেলা পর্যায়ে বৈঠকও হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে সেই সঙ্গে এই দুই ব্লকের তৃণমূল নেতা, কর্মীদের একাংশ অন্য কথাও বলছেন। তাঁদের দাবি, ভোটের আগের রাতেও কুলটি, চিনাকুড়ি-সহ নানা এলাকা থেকে আসা শ’তিনেক বহিরাগত মোটরবাইক নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। তাঁদের দাবি, ভোটে এই বিষয়টি তুলে ধরে সহানুভূতি আদায় করতে পেরেছে বিজেপি। যদিও বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন ভি শিবদাসন। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সব রকমের খামতি কাটিয়ে উঠতে সামগ্রিক আলোচনা হয়েছে।’’

West Bengal Panchayat Elections 2018 BJP Opponents Ruling Party
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy