Advertisement
E-Paper

প্রার্থীদের ‘চাপ’, সরব বিরোধীরা

শনিবার আসানসোলের মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। সকাল থেকেই দফতরের চার পাশে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বসানো হয় বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৮ ০১:২৮
তপ্ত: দুর্গাপুরে ব্যারিকেডে আটকাল সিপিএমের মিছিল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

তপ্ত: দুর্গাপুরে ব্যারিকেডে আটকাল সিপিএমের মিছিল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেওয়া হল। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত প্রার্থীরা টিকে থাকতে পারবেন কি না, সে নিয়ে সংশয়ে রয়েছে বিরোধীরা। শুক্রবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। নির্বাচন কমিশনের দফতরে এ নিয়ে তারা চিঠিও পাঠিয়েছে বলে সিপিএমের দাবি। বিজেপি নেতারা আবার জানান, মনোনয়ন-পর্ব মেটার পরে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে এলাকায় রাতপাহারা দেওয়ার ভাবনা চলছে।

গত কয়েক দিনে সালানপুর ও বারাবনি ব্লক অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বারবার আক্রান্ত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, ভোটে লড়াইয়ের আশা একপ্রকার ছেড়ে দিচ্ছিলেন দলের প্রার্থীরা। কিন্তু মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা হওয়ার পরে খানিক আশা দেখেন তাঁরা।

শনিবার আসানসোলের মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। সকাল থেকেই দফতরের চার পাশে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বসানো হয় বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা। একশো মিটার পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ছিল। বিজেপি বা কংগ্রেসের প্রার্থী এসেছিলেন তুলনায় কম। তবে সিপিএম অনেক সদস্য-সমর্থককে নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে পৌঁছয়। পুলিশ অবশ্য জেলা গ্রন্থাগারের সামনে মিছিল আটকে দেয়। প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গে সর্বাধিক দু’জনকে যেতে দেওয়া হয়।

এরই মাঝে নুনি পঞ্চায়েত থেকে অসুস্থ প্রার্থী উজ্জ্বল ধীবরকে অ্যাম্বুল্যান্সে মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে আসেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দলের বারাবনি ব্লক সভাপতি অরিজিৎ রায়ের অভিযোগ, ‘‘কয়েকদিন আগে আমাদের থানা ঘেরাও কর্মসূচির সময়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে আমাদের ওই কর্মীর পা ভেঙে গিয়েছে।’’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের বারাবনি ব্লক সভাপতি অসিত সিংহ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা কোনও বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা করিনি।’’

সিপিএমের আবার দাবি, মনোনয়ন জমা দেওয়া গেলেও ভোটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত প্রার্থীরা টিকে থাকতে পারবেন কি না, সেটাই এখন আশঙ্কার। দলের নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী অভিযোগ করেন, ভোট ঘোষণার দিন থেকে তাঁদের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে শাসানো হচ্ছে। এ বার প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর জন্য হুমকি দেওয়া শুরু হবে। বংশগোপালবাবুর কথায়, ‘‘আমরা পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনেও চিঠি লিখেছি।’’

সালানপুর, বারাবনি এলাকায় দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতপাহারার চিন্তাভাবনা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের বারাবনি ব্লক সভাপতি অরিজিৎবাবু বলেন, ‘‘মনোনয়ন তোলার জন্য ওরা রাতের অন্ধকারে আমাদের প্রার্থীদের হুমকি দিতে শুরু করেছে। তা রুখতে পাহারা দেওয়া হবে।’’

তৃণমূলের তরফে সালানপুর ও বারাবনি ব্লকের দায়িত্বে থাকা নেতা তথা এলাকার বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা চাই, বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিক। সে জন্য সব রকম সাহায্য করতেও প্রস্তুত।’’

West Bengal Panchayat Elections 2018 Nomination BJP TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy