আসানসোলে মহকুমাশাসকের অফিস থেকে ফিরছেন নেতারা। নিজস্ব চিত্র
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তা বাতিলের সিদ্ধান্ত অথবা হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্তের কথা জানা ছিল না মঙ্গলবার সকালেও, দাবি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। তাঁরা জানান, সময়সীমা বেড়েছে, সোমবার রাতে এ খবর পেয়েই ঠিক হয়, মঙ্গলবার ফের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। বিরোধীদের ক্ষোভ, কমিশনের সিদ্ধান্তের জেরেই এমন ‘ধোঁয়াশা’ তৈরি হয়েছে।
ঘটনাস্থল, আসানসোলের মহকুমাশাসকের দফতর। মঙ্গলবার কাকভোর থেকে দফতর খোলার আগেই দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলের বেশ কিছু প্রার্থীদের অপেক্ষা করতে। সকাল ১০টা বাজতেই হঠাৎ হাজির তাঁরাও। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘তাঁরা’ আসানসোল, বারাবনি এলাকার তৃণমূল কর্মী, সমর্থক।
শাসক-বিরোধী, দু’পক্ষই যখন প্রস্তুত, তখনই ছবিটা বদলে গেল। বেলা ১১টা। নির্বাচন কমিশন বর্ধিত সময়সীমা বাতিল করেছে, এ কথা চাউর হল এলাকায়। মুহূর্তেই পাতলা হয়ে গেল ভিড়। ফিরে গেলেন সালানপুর, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়ার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা বিরোধী দলের প্রার্থীরা। পরে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্ট কমিশনের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে। কিন্তু ততক্ষণে দুপুর হয়ে গিয়েছে। নিয়মমতো প্রার্থিপদে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে নির্দিষ্ট জায়গায় কাগজপত্র নিয়ে দুপুর তিনটের মধ্যে চলে আসতে হয়। ফলে এ দিন আর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যায়নি বলেই জানান আসানসোলের বিরোধী দলগুলি। দুর্গাপুরের সিপিএমের নেতা, তথা জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের ক্ষোভ, ‘‘প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মেরুদণ্ডহীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জন্য হল না।’’ একই কথা বলেছে বিজেপি-ও।
দুর্গাপুরে অবশ্য এক পক্ষই হাজির ছিল। সকাল ১১টা নাগাদ দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে গিয়ে দেখা গেল, রয়েছেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় এবং শাসকদলের লোকজন। তবে দেখা মেলেনি পুলিশের।
দিনভর এমন ‘ধোঁয়াশা’ আর ‘ভোগান্তি’-র জন্য বিরোধী দলগুলি অবশ্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই বিঁধেছে। সিপিএম নেতা বংশগোপাল চৌধুরী দাবি করেন, ‘‘গোটা বিষয়টাই বোধগম্য হল না। কমিশন যেন সৃষ্টিছাড়া পথে চলছে।’’ বিজেপি নেতা তাপস রায়ের অভিযোগ, ‘‘নির্বাচন কমিশনও রাজ্য সরকারের ধামাধরা হয়ে গিয়েছে।’’ তবে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন যেমন বুঝেছে, সেই মতো করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy