তৃণমূল কার্যালয়ে সেই বাক্স। নিজস্ব চিত্র
কার্যালয়ের বাইরে রাখা একটা বাক্স। আর তার জোরেই এ বার ভোট-বৈতরণী পেরোনো যাবে, ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামে আশা তৃণমূলের।
গ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়টি তৈরি হয়েছে ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের পরে। তখন থেকেই বাইরে রাখা হয়েছে একটি অভিযোগ-বাক্স। তৃণমূল কর্মী আমির শেখ, শেখ গোলাম কিবরিয়া, পিন্টু সাহারা জানান, গ্রামের কারও কোনও সমস্যা হলে তাঁরা লিখিত ভাবে এই বাক্সে জমা দিতে পারেন। এই পদ্ধতিতে গত পাঁচ বছরে শ’দুয়েক অভিযোগ পেয়ে নানা সমস্যা মেটানো হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। তার ফল এ বার ভোটে মিলবে বলে দাবি তাঁদের।
সিপিএমের ভাতার পূর্ব এরিয়া কমিটির সদস্য নজরুল হকের অবশ্য অভিযোগ, ‘‘অনেক সময়েই মীমাংসার নামে শাসক দলের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের উপরে।” তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহম্মদ হবিবুল্লার দাবি, ‘‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ, কোনও সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে থানা-আদালতে যাওয়ার রাস্তা তো খোলাই থাকে।’’
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে পাড়ার নলকূপ খারাপ, রাস্তায় জল জমা-সহ নানা অভিযোগ জমা পড়েছে এই বাক্সে। তা পাওয়ার পরে কার্যালয় সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ডেকে তা মেটানোর ব্যবস্থা করে। আমির শেখের দাবি, অনেক সময়ে আবেদন পেয়ে বাড়িতে গিয়েও সমস্যা মেটানো হয়েছে। তাঁরা জানান, ব্লক নেতৃত্বের পরামর্শেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
গ্রামবাসী নেকাই শেখ, শেখ আয়ুব, বিধান সামন্তদের মতে, গ্রামের কথা ভেবে এই ধরনের উদ্যোগ ভাল। তাতে নানা সমস্যা মিটে যায়। ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল জানান, ‘‘সারা বছর কর্মীরা মানুষের পাশে থাকেন, এটাই তার প্রমাণ।” এ জন্যই এ বার পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় তাঁদের প্রার্থীরা এগিয়ে, দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy