Advertisement
০৪ মে ২০২৪

ধর্মঘটে জেলা প্রায় স্বাভাবিক

এ দিন রানিগঞ্জের সিহারসোল রাজবাড়ি মোড় এলাকায় বন্‌ধ সমর্থকেরা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান।

পায়ে পায়ে: ধর্মঘট, তবুও স্কুলের পথে পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ এলাকায়। ছবি: বিকাশ মশান

পায়ে পায়ে: ধর্মঘট, তবুও স্কুলের পথে পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ এলাকায়। ছবি: বিকাশ মশান

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:০৫
Share: Save:

ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন বুধবার দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া প্রায় স্বাভাবিক রইল পশ্চিম বর্ধমানের নানা প্রান্ত। মঙ্গলবারের তুলনায় এ দিন পরিবহণ ক্ষেত্র ও বাজারের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নানা পক্ষের লোকজন।

এ দিন আসানসোলে দু’টি গোলমালের ঘটনা ঘটে। বিএনআর লাগোয়া তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে দিয়ে এ দিন সকালে সিপিএমের একটি মিছিল যাচ্ছিল। সেই সময়ে সিপিএম-তৃণমূল সমর্থকেরা একে অপরকে কটাক্ষ করেন। ঘটনাস্থলে কমিশনারেটের এডিসিপি (‌সেন্ট্রাল) সায়ক দাস ও কমব্যাট বাহিনীর সদস্যেরা ছিলেন। তাঁরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সালানপুরের দেন্দুয়াতেও দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। সেখানেও দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।

জেলা প্রশাসনের দাবি, এ দিন আসানসোলে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। কারখানা ও খনিতেও এ দিন স্বাভাবিক কাজ হয়েছে। তবে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জিএম কার্যালয়ের সামনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ধর্না দেন ধর্মঘট সমর্থকেরা। কয়েকটি খনি এবং ইস্কোতেও ম্যারাপ বেঁধে ধর্মঘটের সমর্থনে আয়োজিত অবস্থানে যোগ দেন বন্‌ধ সমর্থকেরাও। সরকারি অফিসগুলিতে হাজিরা ও কাজকর্ম স্বাভাবিক ছিল বলে জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম রায়।

স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল দুর্গাপুর মহকুমাতেও। মঙ্গলবার বন্ধ থাকলেও এ দিন খোলা ছিল দুর্গাপুর স্টেশন বাজার। তবে মঙ্গলবারের মতো এ দিনও দূরপাল্লার বাস কম চলাচল করেছে। ধর্মঘটের প্রথম দিন ধরপাকড়ের প্রতিবাদে এ দিন দুর্গাপুরে মিছিল করে সিপিএম।

তবে প্রায় কোনও বাসই চলাচল করেনি রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ায়। এ দিন রানিগঞ্জের সিহারসোল রাজবাড়ি মোড় এলাকায় বন্‌ধ সমর্থকেরা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। দুপুর ১টা নাগাদ বন্‌ধ সমর্থকদের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। জামুড়িয়ার বোগড়ায় সকাল ১১টা নাগাদ বন্‌ধ সমর্থকেরা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে বলে পুলিশ জানায়। সেখানে জড়ো হন তৃণমূল সমর্থকেরাও। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার একটি বাস ভাঙচুরের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে তাঁদের বুধবার আসনসোল আদালতে তোলে পুলিশ। সেখানে তাঁদের ১৪ দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

বন্‌ধ সফল না ব্যর্থ, তা নিয়ে এ দিনও চাপানউতোর ছিল। সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, ‘‘ধর্মঘট সর্বাত্মক। তৃণমূল আমাদের হামলা চালিয়েছে। তার পরেও মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘হামলার অভিযোগ মিথ্যা। মানুষ এই ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করেছেন। ধর্মঘটে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Strike Bandh Bharat Bandh Asansol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE