চার দিনের মধ্যে ফের বোমা উদ্ধার হল দুর্গাপুরে। শুক্রবার বেনাচিতির একটি বাড়ি থেকে সকেট বোমা ও বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ডিএসপি টাউনশিপে একটি পরিত্যক্ত আবাসনের পাশে ঝোপ থেকে বাক্সে ভরা ১৩টি কৌটো বোমা পাওয়া যায়। বেনাচিতির ঘটনায় রবিবার রাতেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ দিন সন্ধ্যায় ডিএসপি টাউনশিপের শর্ট রোড এলাকায় ওই ঝোপে বোমাগুলি দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকার কিছু লোকজন। সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াডকে নিয়ে গিয়ে সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কী ভাবে বোমাগুলি এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বেনাচিতির কাইজার লেনে শুক্রবার একটি বাড়ি থেকে সকেট বোমা, হকি স্টিক, তরোয়াল উদ্ধার হয়। বাড়িটির একতলায় এক দিকে সিপিএমের অফিস। সেটি তালাবন্ধ থাকে। অন্য দিকে একটি ক্লাব আছে। মাঝে দোতলায় যাওয়ার সিঁড়ি। উপরের ঘরগুলি নানা অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, বেনাচিতির মসজিদ মহল্লা এলাকায় সম্প্রতি গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, ওই বাড়ির দোতলার ঘরে বেশ কিছু বোমা ও অস্ত্র লুকিয়ে রাখা আছে। সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াডকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে পুলিশ বাড়িটি থেকে সেগুলি উদ্ধার করে।
বোমাগুলি বিজড়ার কাছে একটি পরিত্যক্ত রানওয়ের পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ফাটানো হয়। পুলিশ বাড়ির মালিক শ্রীবাস সাহা ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা এক জনকে আটক করে। তাঁদের জেরা করে পুলিশ উৎপল রায় ও সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় নামে দু’জনকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করে। ধৃতেরা বেআইনি কয়লা কারবারে জড়িত বলেও পুলিশ জানায়। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের জেরা করে আর কেউ জড়িত কি না, জানার চেষ্টা হবে।
সশস্ত্র ধৃত। অস্ত্র-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে দুর্গাপুরের আমরাই থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের তিন জন আমরাই ও দু’জন কাদা রোডের বাসিন্দা। তাদের কাছে পাওয়া গিয়েছে ভোজালি, ছুরি। ডাকাতির উদ্দেশ্যে ধৃতেরা জড়ো হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। সোমবার আদালত তাদের ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।