Advertisement
E-Paper

তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা, উদ্ধার বোমা

তৃণমূল নেতার বাড়িতে পুলিশি হানায় উদ্ধার হল বোমা। গ্রেফতার হলেন নেতার ভাইপো-সহ দু’জন। সোমবার রাতে রায়নার জ্যোৎসাদি গ্রামের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২৮
রায়নার এই বাড়িতেই মিলেছে বোমা। —নিজস্ব চিত্র।

রায়নার এই বাড়িতেই মিলেছে বোমা। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল নেতার বাড়িতে পুলিশি হানায় উদ্ধার হল বোমা। গ্রেফতার হলেন নেতার ভাইপো-সহ দু’জন। সোমবার রাতে রায়নার জ্যোৎসাদি গ্রামের ঘটনা।

যে নেতার বাড়িতে ওই ঘটনা, সেই লালন মল্লিক স্থানীয় হিজলনা অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি। পুলিশের দাবি, দেড় মাস আগে লালন-গোষ্ঠীর এক যুবক আনিসুর মল্লিক বোমার আঘাতে প্রাণ হারান। তার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। ওই খুনে অভিযুক্ত ২২ জন এখন জেল হাজতে। সোমবার রাতে লালনের গোয়াল বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, দু’টি প্লাস্টিক পাত্রে মজুত বোমা সরানো হচ্ছে। বমাল পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির বম্ব স্কোয়াডের প্লাস্টিক পাত্র থেকে ৬০টি সকেট বোমা বের করে নিষ্ক্রিয় করে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, “ওই বোমা কেন রাখা হচ্ছিল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের অন্যতম বদিয়েল মল্লিক হলেন ওই তৃণমূল নেতার ভাইপো। আর এক জন লালনের ঘনিষ্ঠ নাসিরুদ্দিন শেখ। ধৃতদের কাছ থেকে আরও বোমা ও বোমা তৈরির উপকরণ মিলবে দাবি করে পুলিশ এ দিন আদালতে ধৃতদের ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের জন্য আবেদন করে। বিচারক ৯ দিন মঞ্জুর করেন। ঘটনার বিবরণ দিয়ে সোমবার ভোরে রায়না থানায় স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়ো মোটো) মামলা রুজু করেন ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ লালনের বাড়িতে হানা দিয়ে সকেট বোমা উদ্ধার করে। সাধারণত টিনের কৌটো দিয়ে সকেট বোমা তৈরি করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, এই বোমাগুলিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ওই দু’টি পাত্রে রাখা সকেট বোমা তৈরি হয়েছে স্টিলের কৌটো দিয়ে। পুলিশের দাবি, লালন মল্লিকের নির্দেশেই ওই বোমা মজুত করা হয়েছিল এবং তাঁর নির্দেশেই রাতের অন্ধকারে সেগুলি লুকিয়ে রাখছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠেরা।

পুলিশের এফআইআরে লালনের নাম থাকলেও তাঁকে ওই রাতে গ্রেফতার করা যায়নি। ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যায়নি। লালনের পরিবারের অন্যতম সদস্য ডালিয়া বেগমের অবশ্য দাবি, “ঘুমন্ত অবস্থায় বদিয়েলকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। বোমা মজুতের অভিযোগ মিথ্যা। পুলিশ ওদের ফাঁসাচ্ছে।’’ তৃণমূলের রায়নার পর্যবেক্ষক তথা জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, “এক সময় লালন অঞ্চলের সভাপতি ছিলেন। এখন আর নেই। কী হয়েছে জানি না। খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।’’

Bombs TMC Arrested
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy