দুপুর ১টা নাগাদ দলের সভামঞ্চে ওঠেন সভামন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে তখন স্লোগান দিচ্ছেন জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র। স্লোগান শেষ হতেই বক্তৃতা শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ঠিক তখনই দর্শক আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি জয়ন্ত সাহা। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, মঞ্চে তাঁর জন্য কোনও আসন বরাদ্দ হয়নি বলে এ ভাবেই ‘প্রতিবাদ’ করেন তিনি।
অন্য দিকে, সভার ভিড়ে তৃণমূলের তিন মহিলা কর্মীর সোনার হার ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ। সভা শেষ হওয়ার আগেই সভা মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় কিছু কর্মী-সমর্থকদের। তাঁদের আটকাতে মঞ্চ থেকে নেমে যান মহুয়া।
বৃহস্পতিবার বেলা প্রায় ১টা নাগাদ চপারে করে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে নির্মিত অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৪০ মিনিটের প্রশাসনিক কর্মসূচি শেষ করে পায়ে হেঁটে সভামঞ্চে যান মমতা। জেলা রাজনীতিতে মহুয়ার উল্টো মেরুতে অবস্থানকারী পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকেও দেখা যায়নি সভায়। যদিও পরে তাঁর দাবি, তিনি অসুস্থ ছিলেন। তৃণমূলের অন্দরে কেউ কেউ বলছে, তাঁকে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হবে না, আগেই জানিয়েছিলেন শীর্ষনেতৃত্ব। তাই মানিক অনুপস্থিত সভায়।
অন্য দিকে, মহুয়ার প্রবল বিরোধী প্রাক্তন জেলা সভাপতি জয়ন্তকে আমন্ত্রণপত্র না-দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মমতা বক্তৃতা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকাসন থেকে বারবার তাঁর নামে স্লোগান দিতে থাকেন জয়ন্ত। মমতা ইশারা করে জয়ন্তকে বসার জন্য বলেন। সভা চলার সময়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন জয়ন্ত। মঞ্চে আসন না পেয়ে এ ভাবে তিনি প্রতিবাদ করেছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করছে।
ভিড়ের মাঝেই কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ ময়দানের জনসভায় উপস্থিত তিন মহিলা তৃণমূল কর্মীর সোনার হার ছিনতাই হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সভা শেষে ওই মহিলারা উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের কাছে অভিযোগ জানান। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছে পুলিশ।
মূলত চাপড়া বিধানসভা থেকে সব থেকে বেশি কর্মী সমর্থক এসেছিলেন বৃহস্পতিবার। এছাড়াও পলাশিপাড়া, করিমপুর, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার বেশ কিছু অংশ থেকে এদিন কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন মমতার সভায়। ওয়াকফ ও এসআইআর ইস্যুতে মমতার বার্তা শোনার জন্য বেশি উৎসাহ ছিল কর্মী সমর্থকদের মনে।