ঘটনা এক: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্ব। প্রচারে বেরিয়ে ‘দুষ্কৃতী’দের হাতে আক্রান্ত হলেন আসানসোলের সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়।
ঘটনা দুই: লোকসভার ভোটের দিন দুপুরে নির্বাচনী এজেন্টকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দেখতে বেরিয়েছেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি তাক করে ইট ছোড়া হয়। বুথের কাছেই ‘দুষ্কৃতী’দের বিরুদ্ধে বাবুলের উপরে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল।
এর পরে, শনিবার। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তেতে উঠল এলাকা। প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই মিল একটাই, ঘটনাস্থল, বারাবনি বিধানসভা এলাকা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, বারাবনির ৪ নম্বর খরাবর এলাকা। বারবার একই এলাকায় কেন হামলা, অশান্তির অভিযোগ উঠছে, এই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। প্রতিটি ঘটনার মতো এ ক্ষেত্রেও তাঁদের অভিযোগের আঙুল, ‘তৃণমূল আশ্রিত অবৈধ কয়লা কারবারি’দের দিকে। যদিও, তৃণমূল বরাবরের মতো এ বারেও দলের সঙ্গে ‘অবৈধ’ কয়লার কারবারিদের কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছে। তবে ঘটনার পরে, আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় অভিযোগ করেন, ‘‘বারাবনিতে যত অশান্তির ঘটনা অতীতে ঘটেছে, এখন ঘটছে, সবই তৃণমূলের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতীরাই ঘটিয়েছে এবং ঘটাচ্ছে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গবাবুও বলেন, ‘‘অবৈধ কয়লার কারবারের বখরা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের অশান্তির জেরেই বারাবনি-সহ জেলার নানা প্রান্তের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। বিজেপি এই অশান্তি থেকেই ফায়দা তুলতে চাইছে।’’
তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের জেলা সহ-সভাপতি বিধান উপাধ্যায়। তিনি সিপিএম ও বিজেপি-কে এক ‘বন্ধনি’তে রেখে বলেছেন, ‘‘এলাকা খুবই শান্তিপ্রিয়। সেই শান্তিতে জল ঢেলে এলাকা উত্তপ্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন বিরোধীরা। শনিবারের ঘটনাও এ কারণেই।’’