আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বৈঠক চূড়ান্ত হতেই শত্রু দেশে হামলার ঝাঁজ বাড়িয়ে দিল রাশিয়া। শনিবার ভোর থেকে পর পর গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে ইউক্রেনে। চলছে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হানা। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিভে রাশিয়া ‘বড়’ হামলা চালিয়েছে। জ়েলেনস্কির সেনাবাহিনী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে আঘাত প্রতিহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গোটা দেশে সতর্কতা জারি করে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে ২০২২ সাল থেকে। বিভিন্ন স্তরে আলোচনা সত্ত্বেও এই যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। একাধিক বার জ়েলেনস্কি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু আমেরিকার মধ্যস্থতা এখনও পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। ফলে এই দুই দেশের মধ্যে ছোটখাটো হামলা এবং পাল্টা হামলা চলতেই থাকে। কিন্তু শনিবারের মতো প্রবল আকারে রুশ হামলা অনেক দিন পর দেখল ইউক্রেন। রয়টার্স, এএফপি-র মতো সংবাদসংস্থার প্রতিনিধিরা কিভে বসে একাধিক বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। আকাশপথে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্রিয়তাও তাঁরা দেখেছেন। কিভের মেয়র সমাজমাধ্যমে হামলার কথা জানিয়েছেন এবং শহরবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
আরও পড়ুন:
ইউক্রেনের বায়ুসেনা দেশ জুড়ে আকাশপথে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করে দিয়েছে। জানিয়েছে, চারদিকে শত্রুর ড্রোন উড়ে বেড়াচ্ছে। যখনতখন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে। বিমান চলাচলও ব্যাহত।
জ়েলেনস্কি শুক্রবারই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেন। রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ফ্লরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ করার কথা। তার জন্য আমেরিকায় যাচ্ছেন তিনি। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য সম্ভাব্য কিছু পরিকল্পনা নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হতে পারে। আপাতত ২০ দফা পরিকল্পনা স্থির করা হয়েছে। তবে তা কতটা বাস্তবায়িত করা যাবে, এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প-জ়েলেনস্কি সাক্ষাতের ঘোষণার ঠিক পরে ইউক্রেনে যুদ্ধের ঝাঁজ বাড়িয়ে কি অন্য কোনও বার্তা দিতে চাইলেন পুতিন? অনেকে তেমনটাই মনে করছেন।